ছোটবেলার খিদের জ্বালার স্মৃতি ! নিজের জন্মভুমিতে অনাহারীদের জন্য ফুড ব্যাংক বানালেন নদীয়ার কাওসার

Social

মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুরের কাওসার আলী মন্ডল খিদের জ্বালাময় স্মৃতি থেকে, উপার্জনের বেশিরভাগ ব্যয় করেন অনাহারীদের, প্রতিদিন ৫০জনের খাবারের পাকাপাকি ব্যবস্থা করলেন নিজের জমিতে বানালেন খাদ্য ব্যাংক উদ্বোধন করলেন শান্তিপুর থানার ওসি ।

কাউসার আলীকে প্রতিবেশীরা সকলে মিন্টু বলে চেনে! আট থেকে আশি সকলেই তার বন্ধু, হাত পাতার আগেই সহযোগিতা পৌঁছে যায় বাড়িতে। কাজের সুবাদে বাড়িতে থাকলেও এলাকার ছোটবেলার বন্ধুদের টাকা পাঠানোর মাধ্যমে দীর্ঘ লকডাউনে অনাহারী মানুষের সহযোগিতা পৌঁছেছিল রাতের অন্ধকারে, সংবাদ শিরোনামে না আসার পক্ষপাতী তিনি। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে এবং এ কাজে এগিয়ে আসার জন্য অন্যদের অনুপ্রেরণা যোগাতে এলাকাবাসীর দাবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের।

কাওসার আলী একসময় মাহিনের স্বর্ণশিল্পী ছিলেন বর্তমানে পেশায় সোনার রূপোর সফল ব্যবসায়ী। হায়দ্রাবাদে নিজস্ব বাড়ি দোকান এবং নিজের জন্মভূমি শান্তিপুর এবং হায়দ্রাবাদের ষাটজনের কর্মসংস্থান করেছেন তিনি।
হঠাৎ জনসেবায় মন কেনো? উদ্দেশ্য কি! রাজনৈতিক !নাকি ব্যবসায়িক? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন সে উত্তর সময় বলবে, স্বার্থপরের দুনিয়ায় আমরা সব কিছুতেই কারণ খুঁজি! তবে রাজনীতিকে ঘৃণা করি, আর ব্যবসার পরিধি প্রসার সবকিছু হায়দ্রাবাদে! তাহলে এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা এখানে খরচ না করে হায়দ্রাবাদে করলেই তো হতো। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, একসময় পেটের ক্ষিদে কি তা বুঝেছিলাম কম উপার্জন পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। অর্থের অভাবে পড়াশোনা না করতে পেরে উপার্জনের উদ্দেশ্যে মাত্র ১৬বছর বয়সে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলাম কাজের খোঁজে! কঠোর পরিশ্রম সততা এবং মানুষকে আপন করে নেওয়ার জন্যই হয়তো আজ এই সফলতা। আগামীতে স্বাস্থ্যপরিসেবা এবং অনাথদের আশ্রয় ব্যবস্থা করতে চাই। ভালো কাজ করলে অনেকেই পাশে পাওয়া যায়।

কাওসার আলীর পিতা আজাদ আলী বিশ্বাস জানান, সকলের শরীর মাথা একই রকম হওয়া সত্ত্বেও কেউ রোজগার করেন ৫ হাজার ৫০ হাজার! আসলে সে রোজগার করছে না, উপরওয়ালা ওর মাধ্যমে গরীব মানুষের কাছে পাঠাচ্ছে, এটা বোঝে না অনেকেই, ও আমার ছেলে হিসেবে বুঝেছে এর জন্য আমি বাবা হিসেবে গর্বিত।

গ্রামের মহিলা পুরুষ বয়স্ক বাচ্চা সকলের সাথে তার সম্পর্ক নিবিড়, আজ সারাদিন হইহুল্লোড় করে কাটাতে দেখা গেল তাকে। বন্ধুরা জানালেন এবার থেকে অফিসে বসে কুপন বিলির মাধ্যমে নিয়মিত দুপুরে খাবার পরিবেশন করা হবে। বর্তমানে রাজনৈতিক যা পরিস্থিতি ধর্মের ভেদাভেদের সুরসুরি, ভালো কাজের অনেক দোষ ! সেই কারণেই একজন হিন্দু এবং একজন মুসলমান মহিলাকে নিযুক্ত করা হয়েছে রান্নার কাজে।

Leave a Reply