মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার সোনা শর্মা পেশায় একটি বিদ্যালয়ের অস্থায়ী অংকন শিক্ষক ! বাড়িতেও ছবি আঁকা শেখান তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দু বছর ধরে, ভাটা পড়েছে আয় উপায়ে! বাংলা ইংরেজি নববর্ষ , দোলউৎসব, বড়দিন, রাখি, ভাইফোঁটা, দুর্গাপূজা নানান ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আবেগকে কাজে লাগিয়ে পোশাকে রং তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন উৎসবের মেজাজ,সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিপণনের ব্যবস্থা করেন তিনি।ছাত্রদের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে ১৫ জনের নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সোনাবাবু বলেন, মেয়েদের শাড়ি কুর্তির মতই পুরুষদের সমান চাহিদা পাঞ্জাবিতে। বিশেষত দুর্গাপূজার সময়, এ প্রজন্মের ছেলেরা সাবেকিয়ানা ফিরিয়ে আনতে চায়, আর সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে রংবেরঙের সুতির পাঞ্জাবির উপর দুর্গা ঠাকুরের ছবি, মন্ত্র লেখার মতো নানান অভিনব ডিজাইন মন কেড়েছে ক্রেতাদের। ফলে গত বছরের থেকে এ বছরে পাঞ্জাবি অর্ডার বেড়েছে অনেকটা। কাপড়ের গুণগত মান ,সাইজের উপর নির্ভর করে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি শান্তিপুরের তাতশাড়ির হাটে বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও, অনলাইনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ক্রেতারা।