মলয় দে, নদীয়া:- আয়ুর্বেদ, ইউনানী, হোমিওপ্যাথি আজ নতুন নয়! শল্যচিকিৎসার গোড়ার দিকে চরস, সুশ্রুত নির্ভরশীল ছিলেন আয়ুর্বেদিকের উপর। তবে রোগ থেকে দূরে থাকতে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটাতে যোগব্যায়াম অদ্বিতীয় ভারতীয়দের কাছে। আধুনিকতার দাপটে প্রযুক্তির ঘনঘটায় সবটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক গঠন করেছিলেন শুধুমাত্র সাবেকি ভাবধারা প্রতি সম্মান জানিয়ে সৃষ্টি রীতিনীতি বজায় রাখতে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন ঔষধি গাছ লাগানোর উৎসাহ বৃদ্ধি করতে নানান প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন। তবে কেন্দ্র-রাজ্য বৈষম্যে সাধারণ মানুষের থেকে অনেক দূরে ছুটে যাচ্ছে এ ধরনের প্রকল্প।
নদীয়ার শান্তিপুরের বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুঙলিয়া গ্রামে আয়ুষ মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন শান্তিপুর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসের এডিও, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের বিজ্ঞানী, যাদবপুর ইউনিভার্সিটির উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক, উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃক্ষরোপণ বিশারদ, কেন্দ্রীয় বনবিভাগের প্রাক্তন আধিকারিক সহ বহু গুণীজন।
ওই এলাকার কৃষকদের চাষের কাজে ভূমি অন্তর্নিহিত জলের যথেচ্ছ অতিরিক্ত ব্যবহার রুখতে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়, বিভিন্ন ঔষধি চারা গাছ বিতরণের মাধ্যমে পরিত্যক্ত জায়গা ফাঁকা না রেখে ভিন্ন রকম চাষে আগ্রহী করে তোলার উপদেশ দেওয়া হয়। ঘৃতকুমারী, সর্পগন্ধা , বাসক ,তুলসী, অর্জুন, বয়রার মত নানান ঔষধী গাছের মূল কাণ্ড বাকল পাতা ফল ফুল বিক্রয় নিয়ে জীবিকার নতুন সুলুক সন্ধান দেওয়া হয়। লবঙ্গ এলাচ দারচিনি একাঙ্গীর মত মূল্যবান ফসল চাষ করার উপযুক্ত পরিবেশ আবহাওয়া মাটি বিষয়ক নানা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কৃষকরা, কৌতুহলী নানান প্রশ্নের উত্তর দেন বিশেষজ্ঞরা।