রমজানের রোজা ভেঙে বিরল গ্রুপের রক্ত দিয়ে ছোট্ট তানিয়ার জীবন বাচাঁলেন যুবক

Social

সোশ্যাল বার্তা: সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা নামক মহামারী থাবা বসিয়েছে, সবাই ভীত, সন্ত্রস্ত বাড়ির বাইরে বেরোনোটাও কঠিন ব্যাপার। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে যথারীতি বন্ধ রয়েছে যানবাহনও কিন্তু মানুষের শরীর তাদের অসুস্থতা তাদের বেঁচে থাকার তাগিদ এগুলো থেমে থাকেনা ।

গত ৬ দিন ধরে ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তানিয়া খাতুনের জন্য বাবা বাহার আলী শেখ নদীয়া জেলার শক্তিনগর ব্লাড ব্যাংক এর সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রক্ত স্বল্পতার জন্য তার প্রয়োজন এক ইউনিট এ (নেগেটিভ) রক্ত । প্রচন্ড গরম ও করোনা আবহে বতর্মানে প্রায় সমস্ত ব্লাড ব্যাংক রক্তশূন্য ।

খবর পায় সাধারণ মানুষের বিপদের দিনে রক্তের জোগান দেওয়া প্রচেষ্টা গ্রুপ। সারা কৃষ্ণনগর খুঁজেও বিরল গ্রুপের রক্ত যোগাড় করা সম্ভব হয়নি কিন্তু ‘প্রচেষ্টা ‘থেমে থাকার গ্রুপ নয়। খুঁজে বের করা হয় আসিক ইকবাল নামে এক যুবকের । তার বাড়ি নাকাশিপাড়ার বীরপুর । লক ডাউনে সেখান থেকে তাকে আনাটাও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়ায় ।

শেষ পর্যন্ত তানিয়ার কাকা মোটর সাইকেলে করে আসিক ইকবাল বাবুকে নিয়ে শক্তিনগর ব্লাড ব্যাংকে আসেন ।

বতর্মান চলছে রমজান মাস তাই রোজা ছিলেন আশিক ইকবাল। রোজা ভেঙে ৪০ কিলোমিটার দূরে এসে রক্তদান করে তানিয়ার পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন এই যুবক ।

আশিক ইকবাল এই মহানুভবতা আজ এক উদাহরণ স্থাপন করল। তিনি প্রমান করলেন ধর্ম মানে মানুষের বিপদে সাহায্য ।

আশিক ইকবাল মহাশয় স্বল্প কথায় বলেন “মানুষের সেবাই সবচেয়ে বড় ধর্ম।”

প্রচেষ্টা গ্রুপের সম্পাদক সুমন বাবু আশিক ইকবাল বাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং ছোট্ট তানিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন আমরা এইভাবে মানুষের পাশে যেন সবসময় থাকতে পারি এবং আপনারাও এই কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসে আমাদের হাত শক্ত করুন।

তানিয়ার বাবা আক্ষেপ করে বলেন “চেনা পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কেউ এগিয়ে আসেননি এই মহামারীর ভয়ে। আসিক ইকবাল বাবুর কথা সারা জীবন মনে থাকবে” ।

Leave a Reply