মলয় দে নদীয়া:- প্রভাত সিংহ রায়, অশোক শী, গৌর দাস এবং রমা ঘোষ এই চারজন সংগঠক শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে ০১.০৯.১৭৭২ সালে সুত্রাগড় অঞ্চলের চুনুরীপাড়া স্ট্রীটের চুনুরীপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত করেন। পরবর্তীকালে জার্মান প্রবাসী ডঃ রবীন বঙ্গ মহাশয় তার স্বর্গত পিতার স্মৃতিতে বিদ্যালয়ে দ্বিতল গৃহ স্থাপন করে দেন। এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে তার পিতার নাম অনুসারে ডাঃ রমেশ চন্দ্র বঙ্গ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়। ৪৯ বছর পার করে পঞ্চাশে পদার্পণ করছে এবছর! তাই বর্ষব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তীর শুভসূচনা আয়োজিত হয়েছিল আজ।
কোভিডকালে অবসর নেওয়া একজন শিক্ষককে, সংগঠক ৪ শিক্ষকদের এবং অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বিপ্লব বিশ্বাস কে সংবর্ধিত করা হয়।
বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকাদের লিখনের উদ্দেশ্যে একটি ওয়াল ম্যাগাজিনের প্রারম্ভিক সূচনা হয় আজ।
শিশু শ্রেণিকক্ষকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ক্লাসরূমে উন্নীত করা হয় এবং সমস্ত বিদ্যালয়টি ওয়াইফাই ক্যাম্পাস হিসেবে প্রস্তুত করা হয়। নিয়মিত অনলাইন পাঠ দানের ফলে , করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কিন্ডার গার্ডেন স্কুল গুলি থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যাবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই বিদ্যালয়। তবে কোন সরকারি সহযোগিতা বা শিক্ষানুরাগী মানুষের মুক্ত হস্তে দান নয়! বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসকল ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জয় সরকার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, তাই এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যার ফল হয় সুদুরপ্রসারী এবং বাস্তব উপযোগী। তবে আগামীতে শিশুদের শারীরিক গঠনের উদ্দেশ্যে জিমনেসিয়াম চালু এবং গোটা বিদ্যালয়টি ওয়াইফাই জোন হিসেবে করার ইচ্ছা আছে।