মলয় দে নদীয়া- বহু পুরোনো বিষ্ণু মূর্তি যা রয়েছে বট গাছের নিচে! প্রশ্ন উঠতেই পারে ঠাকুর তিনি তো মন্দিরে স্থান পাবেন বট গাছের নিচে কেন? এলাকার ভক্তবৃন্দরা জানান রানাঘাট অনুলিয়া গ্রামে এই বিষ্ণু মূর্তি বিলাসবহুল মন্দিরে নয়, বহু প্রাচীনকাল থেকে বটগাছের নিচেই অধিষ্ঠান।আনুলিয়া রায় বাড়ির জমিদার স্বপ্নাদেশে মাটি খুঁড়ে এই মূর্তি উদ্ধার করেন। আর স্বপ্নাদেশে তিনি জানতে পারেন এই বিষ্ণু মূর্তি মন্দিরে রাখা যাবে না। তিনি বট গাছের নিচে থাকবেন। গ্রামের মানুষজন বিষ্ণুকে শিব রূপে পূজো করেন তাই শ্রাবণ মাসে পূজো দেওয়ার রীতি আছে। শ্রাবণ সংক্রান্তি তে পূজো দেওয়ার জন্য ভিড় হয়।তবে দুই বছর করোনা আবহে পূজোতে ভাটা পড়েছে। চৈত্র মাসে পূজো ও চৈত্র সংক্রান্তি তে সন্ন্যাসীরা শিব রূপে পূজো করেন ,চড়ক পূজো হয় কিন্তূ দুই বছর ধরে তা ভাটায় পড়ছে।তবে বট গাছের তলায় বিষ্ণুদেব গ্রামের কাছে শিব তাদের মনোবাঞ্চা ও প্রার্থনা গ্রামের কূলদেবতা হিসাবে আজও তিনি বিরাজমান।