হলদিয়া: রাজ্যে পেংবা মাছের প্রথম সফল চাষ হয় পূর্বে মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকে। বর্তমানে হলদিয়া থেকে ধীরে ধীরে সারা রাজ্যেই সুস্বাদু পেংবা মাছ চাষের প্রসার বাড়ছে । আর চাষের জন্য চাষিদের মধ্যে পেংবা মাছের চারা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে । আর সেই জন্য বিভিন্ন হ্যাচারী মালিকরা পেংবা মাছের প্রজননে আগ্রহ প্রকাশ করছে । পেংবা মাছের কৃত্রিম প্রজননের জন্য প্রজননক্ষম “ব্রুড” মাছের যোগান দিচ্ছে হলদিয়ার বিভিন্ন পেঙবা মাছের খামার।
দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের পঞ্চানন মন্ত্রি, মৃন্ময় সামন্ত, চকলাল্পুরের সফি আহমেদ, বসানচকের শরত চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ প্রগতিশীল মাছ চাষি পেংবা চাষ করছে। আর সেই পেংবা মাছের খোঁজে হলদিয়ায় আসছে রাজ্যের বিভিন্ন হ্যাচারী মালিকরা।
হলদিয়ার মাছের খামার থেকে প্রজননক্ষম পেংবা মাছ নিয়ে গেছেন নৈহাটির হ্যাচারী মালিক বাবলু পাত্র, বেলদার তাপস জানা, ডায়মন্ড হারবারবারের ইসরাফিল মন্ডল, সুপ্রকাশ খুটিয়া প্রমুখ হ্যাচারির মালিকরা।
সম্প্রতি নৈহাটির বড় হ্যাচারী মালিক বাবুল মজুমদার হলদিয়া ব্লক মৎস্য দপ্তরের সহায়তায় হলদিয়ার মাছের খামার থেকে পেংবা মাছের ব্রুড সংগ্রহ করে নিয়ে গেলেন। বাবলু মজুমদার বলেন, “মাছ চাষিদের মধ্যে পেংবা মাছের বেশ চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই জন্য পেংবা মাছের কৃত্রিম প্রজনন করব । এখন থেকে পেঙবার ব্রূডার মাছ তৈরি করতে পারলে, শীতের সময় এই মাছের যোগান দেওয়া যাবে”।
বাবুল মজুমদার এর মতো রাজ্য ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রগতিশীল হ্যাচারী মালিক এগিয়ে আসায় পেংবা চারা উৎপাদনে অন্য মাত্রা পাবে।
হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, পেংবা মাছের প্রজননে এরকম হ্যাচারী মালিকরা এগিয়ে এলে আগামীতে পেংবা মাছ অতি সহজেই চাষিরা পেতে পারবেন।
হলদিয়ার মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি বলেন, মানুষের স্বার্থে মাছ চাষে সকল প্রকার সহযোগীতা দপ্তর থেকে করা হচ্ছে।