নদীয়া জেলা শিশু পুনর্বাসন সমিতির কাজে গতি আনতে কৃষ্ণনগর ডিএম অফিসে র সামনে অবস্থান বিক্ষোভ

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা,৫ই ডিসেম্বর ২০১৯, মলয় দে নদীয়া:- পিঠে স্কুলের ব্যাগ এর বদলে প্লাস্টিক কুড়ানো বস্তা, হোটেল রেস্তোরায় খাবার দেওয়া- বাসন মাজার সহযোগী, ট্রেনে বাসে হকারী, সাইকেল মোটর গ্যারেজ এর সহযোগী শ্রমিক সমাজের নানা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশু শ্রমিকদের। শিশুশ্রম দন্ডনীয় অপরাধ, চাইল্ড হেল্প লাইন নাম্বার, হৃদয় বিদীর্ণ বিভিন্ন ছবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা মন্তব্য, বিশ্ব শিশু শ্রমিক দিবস পালন এসবের মাঝে শহরের এক কোণে পড়ে থাকা সাইনবোর্ড “ নদীয়া জেলা শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন সমিতি”।২০০৬ সালে নদীয়া জেলা শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন সমিতির উদ্যোগে ১০০ টি বিশেষ বিদ্যালয় তৈরীতে সক্ষম হলেও ৯ থেকে ১৪বছরের শিশু কর্মক্ষেত্র থেকেই মালিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত জরিমানা বাবদ ২৫ হাজার টাকা পান প্রথমেই। শিক্ষা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সম দপ্তর থেকে পূর্বে দেড়শ বর্তমানে ৪০০ টাকা প্রতি মাসে, মিড ডে মিলের বরাদ্দ, স্কুল ইউনিফর্ম ব্যাগ সরকারি শংসাপত্র, খেলার সামগ্রী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের সাম্মানিক কিছু অর্থ বরাদ্দ থাকলেও জেলা এন সি পি এল এর ইউ সি সার্টিফিকেট না পাওয়ায় বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যায় প্রতিবছরই।

সংস্থার পক্ষে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা নদীয়া জেলা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে সমস্ত বিষয়টি অবহিত করেছে তারা। এমনকি তাদের সাম্মানিক সামান্য কিছু অর্থ তারা পান না বিগত চার বছর ধরে। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তারা, অসুবিধে কথা বিভাগীয় দপ্তরের জানিও সুফল না মেলায় আজ ডিএম অফিসে অবস্থান-বিক্ষোভ বসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। নদীয়া জেলার মোট ৮৫ টি বিদ্যালয় এবং পাঁচটি এনজিও র সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।