মলয় দে, নদীয়া:- করোনা নিবারণে প্রধান উপায় হিসেবে মানব শৃংখল ভঙ্গ না করতে, দীর্ঘ লকডাউনের পর আবারও লকডাউন! কতশত সরকারি নীতি , স্লোগান মানুষের মুখে মুখে, পোস্টার ঝোলে গেটের বাইরে! বন্ধ স্কুল-কলেজের মতন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানও।
অনলাইনে যাবতীয় কাজকর্ম, দুয়ারে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কথা শোনা গেলেও, বাস্তবে তা বিশবাঁও জলে! করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার অনুসন্ধান করতে এসে দাঁড়াতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি উপকৃত সুদীর্ঘলাইনে, এরপর প্রতিষেধক পেতে নিশিযাপনের ঘটনা এখন প্রায় সর্বত্রই!
কর্তৃপক্ষের মজুত ভ্যাকসিনের তালিকা দেওয়ালে পোস্টার হিসেবে দেখেও লাইনে নিজেদের সংখ্যার গুনতি অনুযায়ী অবস্থানের পর যখন দেওয়া শুরু হয়, তখন অনেকেরই পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনের লাইন থাকে। ফলে পিছনে যিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি ওই দিনের জন্য ভ্যাকসিন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। এভাবেই দু-তিন দিন কেটে যায়।
এবার আসি রেশনের লাইনে! পরিবারের কোন সদস্য প্রথমে কাকভোরে লাইন দেওয়া, বেলা দশটার পরে অন্য এক সদস্য গিয়ে , বিকালে তুলে নিয়ে আসছেন রেশন।
ব্যবসা হোক বা পারিবারিক খরচের টাকা তুলতে ব্যাংকেও মস্ত লাইনের পেছনে বর্তমান বর্ষাকালে বারবার বৃষ্টি আসা কে উপেক্ষা করেও কমপক্ষে চার-পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়ালে তবেই, ঢোকা যাবে ব্যাংকের মূল দরজায়, অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করা সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জন্য, ব্যাংকের বাইরে কোনো রকম ছাউনির ব্যবস্থা করেননি।
যদি মনে করেন এই তিনটি কাজ আপনি একা নিজে করবেন, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মতন এক সপ্তাহ আপনার অন্য কোন দিকে সময় দিতে পারবেন না।