মলয় দে, নদীয়া :- উপার্জিত অর্থে জনসেবার স্থায়িত্ব অনেক সময়, বাধাপ্রাপ্ত হয় নানান কারণে! কিন্তু সংস্থার উপার্জনের পথ সুনির্দিষ্ট করে, তা দিয়ে যদি জনকল্যাণমূলক কাজ করা যায় তা চলে দীর্ঘদিন। হীনমন্যতায় ভোগেন না সদস্যরাও।
নদীয়ার শান্তিপুরের ইমাকুলেট লাইট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা আজ থেকে কয়েক বছর আগে, এই রকমই এক আবেগ বর্জিত অভিনব বাস্তব উপলব্ধির অভিজ্ঞতা থেকে। তৈরি করেছিলো সংগঠন। সরকারের স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের কাজের আবেদন জানান তারা। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংগঠনবাদ দিয়ে কেউ নয়! কাজ যেই করুক ২০০ টাকা প্রতিটি নির্মাণের জন্য জমা থাকবে সংগঠনে। আর সেই টাকা দিয়ে, কখনো রক্তদান, কখনো বিশেষভাবে সক্ষম দের সহযোগিতা, কখনো বা ছোট কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নিয়মিত জনসেবায় নিয়োজিত রয়েছে এই সংগঠন।
করোনার প্রথম ঢেউতে কর্মহীন প্রায় বারো শো পরিবারকে এক সপ্তাহের শুকনো খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হয়েছিলো। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই, আবারো পথে নেমেছেন তারা, করনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শান্তিপুর মতিগঞ্জ পৌর অতিথি নিবাসের সামনে দশ দিন যাবত, অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি হয়েছে। সেখানেই ফাইল প্যাকেট পার্সেলে গ্রাম-শহরে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ জনের মধ্যাহ্নভোজ পৌঁছে যাচ্ছে সদস্যদের মাধ্যমে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দায়িত্বে থাকা কৌশিক প্রামানিক জানান, রান্না এবং তা হোম ডেলিভারি দেওয়া র পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলনা, তাই প্রথম দিন হিসেবে একটু এলোমেলো হয়েছে! তবে বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত মহলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তা এখন সহজ হয়েছে। বর্তমান এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ব্যাবসায়িক মুনাফার কথা ভুলে, নিজের নিজের এলাকায় এ ধরনের ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।