ভ্যাকসিনের জন্য নিশিযাপন ! দুর্ভোগ কবে কমবে প্রশ্ন আমজনতার  

Social

মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনা প্রতিষেধক এর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় ১২ ঘণ্টা আগে থেকে লাইনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও তাদের পরিবারের। বেশ কয়েকদিন প্রতীক্ষার পর অবশেষে গতকাল বিকালে যখন, হাসপাতাল গেটে নোটিশ পড়লো, আজ শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দেওয়া হবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ৪৩ থেকে ৬০দিনের মধ্যে। অথচ অনেকেরই পার হয়ে গেছে ৫০ দিন, কারও বা ৬০ দিন ছুঁই ছুঁই! তাই পেছনের আর কোনও জায়গা নেই।

ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা জানাজানি হতেই, রাতের খাওয়া-দাওয়া তাড়াতাড়ি সেরে অনেকেই হাসপাতাল গেটে লাইনে দাড়িয়েছেন। রাত্রি বারোটা পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই চলে এসেছেন প্রায় দেড়শ জনের কাছাকাছি! এরপরে তো সকাল পড়েই থাকলো! মাত্র ৪০ টি প্রতিষেধক বাকি থাকলো। নাম লিখিয়ে লাইন দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের না থাকলেও দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়ানো নিজেদের মধ্যে পালা করে, বিশ্রাম এবং খাওয়া-দাওয়ার ছুটি ভাগ করে নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেতেই এই অবস্থা! প্রথম ডোজেরর কথা তো ভাবতে পারছেন না অনেকে! যদিও অতি অল্প সংখ্যক হলেও প্রাথমিকের আশায় কিছু মানুষ দ্বিতীয় লাইনের মধ্যেই দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আফসোস করলেন, এর আগে এত ভিড় ছিল না, তখনই যদি নিয়ে যেতাম ভালো হতো। ১লা মে থেকে ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন এখন বিশবাঁও জলে! ৪৫ ঊর্ধ্বের প্রথম ডোজ পেতেই চোখের জলে নাকের জলে অবস্থা সাধারণ মানুষের।

তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কবে প্রথম রোজ নিয়েছিলেন তার প্রত্যেকের তথ্যই রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে, সেই অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হলে তবেই নতুনদের কথা ভাবার ফুরসৎ মিলবে।

Leave a Reply