মলয় দে, নদীয়া :-করোনা সংক্রমণ যত বাড়ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা। নদীয়া জেলার রানাঘাট জুড়ে কার্যত অক্সিজেন সিলিন্ডারের হাহাকার ।
রানাঘাটের অক্সিজেন সিলিন্ডারের ডিস্ট্রিবিউটরের কথা অনুযায়ী এমনিতেই বিভিন্ন নার্সিংহোমে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়েছে। কলকাতায় অনেক লাইন দিয়ে তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে হচ্ছে। এই অবস্থায় গোদের ওপর বিষফোঁড়া মতো দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়ার জন্য ব্যাকুলতা। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা যে আকাশছোঁয়া হবে তা বলাই বাহুল্য বলে মনে করছেন রানাঘাট শহরের অক্সিজেন সিলিন্ডারের কারবারিরা।
স্বাস্থ্য দপ্তর কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে, আগের প্রেসক্রিপশন থাকলেই অক্সিজেন দেওয়া যাবে না এখন থেকে, নতুন করে ডাক্তার দেখিয়ে তবেই মিলবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী জার্মান থেকে ২৩ টি অক্সিজেন প্লান্ট আনার ব্যবস্থা করেছেন ভারতে, যা থেকে প্রতি ঘন্টায় ২৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন সম্ভব প্রতিটি প্লান্ট থেকে। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ডোমজুড় ,হাওড়া কোলাঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অক্সিজেন উৎপাদনে বাড়তি নজর দিয়েছেন। স্বভাবতই ভেন্ডার অর্থাৎ অক্সিজেন বিক্রি করা ব্যবসায়ীরা উপযুক্ত মূল্যে ঠিকঠাক পৌঁছাতে পারলেই কোনো ঘাটতি হবে না বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।
শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, সুপারেন্টেন্ড তারক বর্মন জানান গতবছর করোনার চূড়ান্ত সময়, লকডাউন এর মধ্যেও কোনদিন আকাল হয়নি অক্সিজেনের, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ, মহিলা, সার্জিক্যাল বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, এবং স্টোর মিলিয়ে তিন শতাধিক সিলিন্ডার মজুত থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে একদিন তা রিফিল হয়, ভেন্ডারদের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে কোন সমস্যাই হবে না অক্সিজেন নিয়ে। জেলার অন্যান্য শহর এবং ব্লকেও উঠে এসেছে একই তথ্য।