বিরল গ্রুপের রক্ত দিয়ে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাল নদীয়ার যুবক

Social

সোশ্যাল বার্তা: করোনাকালীন পরিস্থিতি ও ভোটযুদ্ধের আবহে অধিকাংশ ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের ভাড়ার প্রায় শূন্য। এইমত পরিস্থিতিতে নদীয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা নির্মল দে কিডনির সমস্যা নিয়ে রানাঘাটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় রক্তের প্রয়োজন। নির্মলবাবু রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ। ফলে পরিবারের সদস্যরা হন্যে হয়ে বিরল গ্রুপের রক্তদাতার খোঁজ করতে থাকেন।

ওই পরিবারেরই একজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নদীয়ার চাপড়া মানব কল্যাণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চাপড়া মানব কল্যাণ সংস্থার সম্পাদক দেবদুলাল বিশ্বাস, বিষয়টি জানায় অন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “টিম হেলপিং অভিজিৎ” এর সদস্য অভিজিৎ মণ্ডল সহ অন্যান্যদের।

শেষে ঘড়ির কাঁটা যখন বারোটা ছুই ছুই সেই সময় কৃষ্ণনগরের কিছু সহৃদয় যুবক ইন্দ্রজিৎ,সুজয়, সুদীপ্ত, অভিজিৎ এর তৎপরতায় রক্তদানে এগিয়ে আসেন ওই বিরল রক্তের গ্রুপের অধিকারী কৃষ্ণনগরের পালপাড়ার বাসিন্দা সন্তোষ পাল। পেশায় তিনি মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর ব্লাড সেন্টারে তিনি রক্তদান করেন।

অপরদিকে ওইদিনই রাতে সুদীপ্ত, সুজয়, ইন্দ্রজিৎ, অভিজিতদের তৎপরতায় ধুবুলিয়ার বুলবুল বিবি নামে একজন মুমূর্ষ মহিলাকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচান কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কিশোর পাল নামে একজন ব্যক্তি।

সন্তোষ পাল জানান “এটি তেমন কিছু নয়। মানুষ বিপদে পড়েছেন রক্ত তো আর  কারখানায় তৈরি হয় না। তাই শোনা মাত্রই চলে এসেছি। ওনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি”।

Leave a Reply