নির্বাচন পোলিং এবং কাউন্টিং এর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের প্রস্তুতি জেলা তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরে

Social

মলয় দে, নদীয়া :- আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সকলেই মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েছেন টিভিতে মোবাইলে বা সংবাদপত্রের বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক খবর জন্য । সাধারণ ভোটাররা অনেকটাই নির্ভর ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল, পোর্টাল বা প্রিন্ট মিডিয়ার ওপর! শুধু রাজনৈতিকই বা কেন! সমাজের সকল অংশের সারাদিনের ঘটে যাওয়া স্থানীয় জেলাব্যাপী রাজ্যব্যাপী জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানান রকম তথ্য তারা পেয়ে থাকেন তাদের পছন্দমতো সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু ক্যামেরার পেছনে থাকে রোদ জল বৃষ্টি, সংসারিক অভাব-অনটন, সংক্রামিত হওয়া বিভিন্ন রোগ, গোলাবারুদ রণক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র , ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রমণ, মিথ্যা মামলা অভিযোগ সবকিছুকে উপেক্ষা করে যারা নিয়মিত সকলের জ্ঞাতব্য তুলে ধরেন বিভিন্ন ঘটনাবলী , তাদের জন্য কিন্তু শুধু গালভরা একটি শব্দ সংবিধানের “চতুর্থ স্তম্ভ”। করোনার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরতে বিভিন্ন হাসপাতাল সংক্রামক রোগের সান্নিধ্য সবকিছু কে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছেন শুধুমাত্র সত্যের সন্ধানে! লকডাউনের মধ্যেও যারা পরিবারের সান্নিধ্যে বাড়িতে কাটিয়েছেন, সেই রকম কিছু ভোট কর্মীর জন্য এসেছে করোনা ভ্যাকসিন। সাংবাদিকরা কিন্তু সরকারি সে সুবিধা থেকেও বঞ্চিত! তবে নির্বাচনের প্রাক্কাল বলে শুধু নয়! ছোট-বড়-মাঝারি নানান ধরনের খবরে বিভিন্ন তথ্যে সমৃদ্ধ হন তারা। শুধু সমৃদ্ধ নয় বরং সহযোগিতাও পেয়ে থাকেন। মন বোঝানো কথায় একে অন্যের পরিপূরক কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে অনেকটাই দূরে আইনের থেকে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে! একসময় তারই কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন তিনি অথচ তার ভুলের কথা তুলে ধরলে মুখ ভার! নানান কটুক্তি সাংবাদিকের প্রাপ্য! তবুও সে রানার! রানার চলেছে খবরের বোঝা নিয়ে!

সোমবার জেলার কৃষ্ণনগর জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে বিভিন্ন সাংবাদিকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় আগামী নির্বাচনে , তাদের সন্তানসম প্রতিপালন করা খবর সংগ্রহের তাগিদে। যাবতীয় বৈধ প্রমাণাদি আজ জমা দেয়ার পর সূত্র মারফত জানা যায় নবান্ন থেকে তা মঞ্জুর হয়ে আসবে নির্বাচন কমিশনের এবং জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এর সিলমোহর লাগিয়ে।
আগত সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় স্থানীয়ভাবে পুলিশ প্রশাসন বা জেলা প্রশাসনের অনেকেরই পরিচিতি থাকে কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষেত্রে তা বোঝা সম্ভব হয়না অনেক ক্ষেত্রেই, তাই সবকিছু যাচাই করার পর নির্বাচন কমিশন প্রাপ্ত আই কার্ড পরিহিত অবস্থায় ঘোরাফেরা করলে সহজেই বোঝা যায় পরিচিতি সম্পর্কে। তাতে একদিকে যেমন নিরাপত্তারক্ষী ভোট কর্মী অপরদিকে রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রেও বুঝতে সুবিধা হয় অনেকটাই। সাংবাদিকরা প্রস্তুত এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নির্বাচন এর যাবতীয় সত্য তথ্য তুলে ধরার জন্য , কাঙ্খিত বিষয় হলো আপনাদের আশীর্বাদ ,বিশ্বাস নিজের ঘরের সন্তান ভেবে মহানুভবতা।

Leave a Reply