রমিত সরকার: ইলেকট্রিক স্কুটারে নবান্নে গেলেন তিনি। স্কুটি চালালেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিম । আর পিছনের আসনে বসে মমতা ব্যনার্জি। অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা।
নেই কোনও স্লোগান, নেই চড়া সুর। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর দিয়ে আমজনতার মতো স্কুটারে চেপে নিজের দফতরে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সাদা শাড়ি, মাথায় নীল হেলমেট। ফিরহাদের পরনেও সাদা কুর্তা। তবে দু’জনের গায়েই দেখা গিয়েছে ফেস্টুন। আর সেখানেই ফুটে উঠেছে পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের ভাষা।
এ দিন হুগলি সেতুর ওপর সে অর্থে বিশেষ কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল না। ফিরহাদের ইলেকট্রিক স্কুটারের চার-পাঁচটা গাড়ির পিছনেই ছিল সাধারণ অফিস যাত্রীদের গাড়ি। তাঁদের দেখে একবার হাত নাড়াতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বেলা ১১.৪৯ মিনিটে নবান্নে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী স্কুটারে চালকের আসনে বসে মাইক ধরেন। তারপর সুর চড়ান পেট্রো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে। তিনি বলেন, “বিশাল ভাঁওতা, সাধারণ মানুষের পকেট কাটা, অসহায় অবস্থায় ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।”
বিজেপিকে ঠুকে তিনি বলেন, “ভোট এলেই বলে বিনা পয়সায় গ্যাস দেবে। উল্টে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে”।