অঞ্জন শুকুল, কৃষ্ণগঞ্জ, নদীয়া: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর শিবনিবাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম শিব মন্দির। এই শিব মন্দিরের সাথে পঞ্চপাণ্ডবদের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকবিদদের কাছ থেকে জানা যায় আনুমানিক ৩০০ বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভৈমি একাদশীর দিন এই শিব মন্দির স্থাপন করেন । আর জানা যায় ভীম কোনো দিন না খেয়ে থাকতে পারতেন না। ভীম ছিল খুব পেটুক। তাই কৃষ্ণের আদেশে সেই সময় পঞ্চপাণ্ডব কে একাদশীর ব্রত পালন করবার জন্য আদেশ দেন। কিন্তু ভীম এই একাদশী পালন করতে অপারোগ। ভীম কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন এবং পূর্ণ অর্জনের জন্য কিভাবে এই ব্রত পালন করা যায় সে ব্যাপারে অনুরোধ করেন। তখন কৃষ্ণ ভীম কে পরামর্শ দেন অন্তত একটা দিন উপবাস তাকে করতেই হবে পূর্ণ লাভের জন্য। ভীম কৃষ্ণের কথা মতো বছরে একটি দিন উপবাস করেন সম্পূর্ণ নির্জলা ভাবে। তাই এই দিনটি ভৈমি একাদশী হিসেবে পূজিত হয়। একই দিনে শিবনিবাস মন্দিরও প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই স্মরণে প্রতি বছর ভৈমি একাদশী মেলা হয় শিবনিবাসে। এই উপলক্ষে অগণিত ভক্ত ভিড় করেন এবং শিব মন্দিরে জল দেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই বিধবা রমণী। তবে আধুনিক যুগে সকলেই এখনই এই দিনটি পালন করে আসছেন শিব লিঙ্গে জল দিয়ে। রাত্রে আহার হিসেবে শিবনিবাসের খৈ মুড়কি বেশির ভাগ মানুষই গ্রহণ করে থাকে। এই জন্য এই দিনটিতে মাইলোর খৈ মুড়কি কিনতে ভিড় জমান অগণিত ভক্ত। এই মেলা ভৈমি একাদশীর দিন শুরু হলেও চলে শিবরাত্রি পর্যন্ত।
তবে প্রতি বছর মেলার সাথে এবারের মেলার একটু ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে করোনা আবহের জন্য। মন্দির কর্তৃপক্ষ মাক্স পরার আবেদন জানিয়ে মাইকে প্রচার করছেন। তবুও বেশির ভাগ মানুষের মুখে নেই মাক্স। উদ্বিগ্ন প্রশাসন।।