নিউজ সোশ্যাল বার্তা ,১৭ই নভেম্বর ২০১৯: নদী আজ বিপন্ন । আর এই নদীকে বাঁচানোর জন্যই ব্যারাকপুরের নোনাপুকুরে কাব্যতীর্থ হলে অনুষ্ঠিত হলো-“পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নদী কনভেনশন”। আয়োজক “জাতীয় নদী আহবায়ক কমিটি” ও “নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও”।
কনভেনশনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ও মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো । কেউবা এসেছেন সুদূর সুন্দরবন থেকে আবার কেউ এসেছেন মালদা থেকে । সবার লক্ষ্য একই পরিবেশ বাঁচাও, নদী বাঁচাও ।নদীয়া জেলার পরিবেশ প্রেমী কিছু সংগঠনের সদস্যবৃন্দও এখানে উপস্থিত ছিলেন । জলঙ্গি নদী কে পুন:জীবিত করার জন্য কৃষ্ণনগরে গঠিত হয়েছে সেভ জলঙ্গি (নদী সমাজ) তাদের পক্ষ থেকে এই কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি সুস্মিতা দত্ত ঘোষ, শ্রীমতি শোভনা দাস, শ্রী জর্জ গোমস, শ্রী শঙ্খ শুভ চক্রবর্তী, শ্রী অমিতাভ সেনগুপ্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন “পরিবেশ ভাবনা মঞ্চ” (শান্তিপুর), “নদীয়া যুগবার্তা”, “সেতু”, “নেচার ফার্স্ট” রানাঘাট সংগঠনগুলির সদস্যবৃন্দ ।
কনভেনশনের আয়োজন করতে যারা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন, যাদের অফুরন্ত আনন্দে সফল হল আজকের এই কনভেনশন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন হলেন – শ্রী তাপস দাস, শ্রী কল্লোল রায় এবং শ্রী দেবাশীষ বাবু। কুলতলী, সুন্দরবন এলাকার পরিবেশ কর্মী “সুন্দরবন জন শ্রমজীবী মঞ্চের” শ্রী মৃত্যুঞ্জয় হালদার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রাখলেন সুন্দরবন এলাকার নদী বিষয়ে।
উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তার মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন বিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশ সচেতনতার প্রসারে যুক্ত করা, রিভার ম্যাপিং, নদীর সমস্যা চিহ্নিতকরণ প্রভৃতি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে তিনি ইছামতী নদী নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। ভবিষ্যতে বারাসাতে একটি ল্যাবরেটরীর মাধ্যমে নদীর দূষণ পরিমাপ করবেন এমন পরিকল্পনা আছে ।
উত্তরবঙ্গের ফারাক্কা,মালদা থেকে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইউনুস তিনি তার বক্তব্য গঙ্গা ভাঙ্গনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন । সভার অন্যতম বক্তা শ্রী সত্যেন দাস বিখ্যাত পরিবেশ কর্মী,পেশায় রিক্সাচালক যিনি রিক্সা চালিয়ে কলকাতা থেকে লাদাখ পৌঁছেছিলেন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করতে। সমগ্র যাত্রাপথে তিনি খেজুর বীজ বপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ করেছেন।
বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্রী সুরেশ কুন্ডু মহাশয় তিনি ব্যক্ত করেন কিভাবে ১৩ বছর আন্দোলন করে নোয়াই খালকে পলি মুক্ত করতে পেরেছেন। এছাড়াও শ্রী জিতেন নন্দী (মন্থন), শ্রী তাপস সাহা (পরিবেশবিদ) শ্রী সুখেন্দু রায় (ভূতাত্ত্বিক,পাটনা), শ্রী সুপ্রতিম কর্মকার সহ আরো অনেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন । ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশের নদী ব্যবহারের ধারণা ও পদ্ধতি বদলানোর জন্যে প্রয়োজনীয় জনমত গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে যার মাধ্যম দিয়েই রাজ্যের নদী-নালা-খাল-বিল বাঁচানোর এবং সামগ্রিকভাবে পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব ।
Our Facebook Page: News Social Barta 24×7
Whats App: 9434158779