মলয় দে, নদীয়া :-রাশিয়ান মেয়ে একাতেরিনা আট বছর আগে সুদূর রাশিয়া থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গাংনাপুর বিবেকানন্দ পল্লীতে শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে। স্বামী এবং শাশুড়ি নিয়ে সংসার শুরু করেন। বিয়ের পর ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে একবারই রাশিয়া গিয়েছেন তিনি, সংসার ফেলে আর যাওয়ার সময় হয়ে উঠেনি! শ্বশুরবাড়িতে তাকে ধীরে ধীরে বাঙালি করে তুলেছে তার শাশুড়ি মা। বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতি আচার-অনুষ্ঠান সবেরই হাতেখড়ি শাশুড়ি মায়ের কাছে। তিন বছর পর একাতেরিনা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। চলতি বছরে তার ছেলে, দত্তাত্র এর পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিজের উদ্যোগে শ্বশুরবাড়িতে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন ছেলের হাতে খড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে আর পাঁচটা বাঙালি গৃহবধূর মতই,ঘরের কাজকর্ম সামলিয়ে ছেলেকে পাশে বসিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে আলপনা দিয়ে সরস্বতী পূজোর পুষ্পাঞ্জলী দিলেন, এবং সেইসঙ্গে বাংলা ভাষাতেই ছেলেকে হাতে খড়ি দেওয়ালেন। তার কথায় “বাঙালি আচার-অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লাগে,আমি শাশুড়ি কাছ থেকে অনেকটাই শিখেছি বাকিটাও শিখতে চাই কারণ আগামী দিনে আমাকে তো সবকিছু সামলাতে হবে!”