মলয় দে নদীয়া:- আজ থেকে কুড়ি দিন আগে, নাটক একাডেমির সচিবের একটি ফোনে নাট্য একাডেমির পুরস্কার ঘোষণায় উচ্ছ্বাসে আপ্লুত হয় গোটা শান্তিপুর, শুধু শান্তিপুরই বা কেন এই গর্ব গোটা নদীয়ার।
১৯৮৮ সালে নদীয়ার শান্তিপুরের রাত্রি চট্টোপাধ্যায়, কলেজে পড়াশোনার মধ্যেই শান্তিপুর সাংস্কৃতিকের থিয়েটার কর্মশালায় যোগদান করে। তারপর থেকে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার। তবে এবারে কলকাতার শিশির মঞ্চে গত ২৪ শে জানুয়ারি স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটকের চরিত্রাভিনেত্রী হিসাবে নাট্য একাডেমির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত হলেন নদীয়ার শান্তিপুরের রাত্রি চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মেঘনাথ ভট্টাচার্য্য, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সত্য ভাদুড়ী সহ বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন শ্রী দেবশংকর হালদার। রাত্রি দেবীর বাপের বাড়িতে নাটক চর্চার তেমন কেউ না থাকলেও, শশুর শাশুড়ি , স্বামী এবং সন্তান প্রত্যেকেই অভিনেতা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। তাই বিয়ের পর থেকে, পারিবারিক অনুপ্রেরণা পেয়েছেন অনেকটাই। বিদেশের মতো থিয়েটার করে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা আমাদের দেশে খুব কম! তাই অনেক ভালো প্রতিভাবার অভিনেতা অভিনেত্রী হারিয়ে যায় বিভিন্ন পেশার তাগিদে। এরই মধ্যে দিয়ে আগামীতে তার স্বপ্ন, নাটক পরিবার বৃদ্ধি ঘটার সাথে , গড়ে উঠুক থিয়েটার গ্রাম শহর ।