মলয় দে, নদীয়া : -প্রবাদ আছে “চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী” ! কিন্তু কিছু তেঁতো কথা আত্মউপলব্ধির মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়ার আদর্শ পাঠশালা হয়ে ওঠে পুতুল নাচের অনুষ্ঠান। একমাত্র বিনোদনই পারে নিজেকে অথবা পরিবারকে নিয়ে সদাব্যস্ত থাকা কর্মচঞ্চল মানুষটিকে সরল শিশুমনে রূপান্তরিত করে দু’দণ্ড চুপ করে কাঠের পুতুলের মতন বসিয়ে রাখতে।
এই ব্যবস্থা আজকের নয়! নাচ-গান নাটক আবৃতি ছবি আঁকা সবকিছুর মধ্যে দিয়েই সামাজিক এবং আদর্শগত দিক থেকে জীবন গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা পান দর্শক আসনে বসে থাকা শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকে। অনেক সহজ কথাও, হৃদয়াঙ্গম হয় ওই সময়ে।
কমিক্সের বিভিন্ন বই পড়া, তারও পরবর্তীতে কার্টুনের বিভিন্ন টুডি থ্রীডি সিনেমার মাধ্যমে শৈশব আকৃষ্ট হলেও, পুতুল নাঁচ সামনেথেকে উপভোগ করার মজা ক্রমশ হারাচ্ছে এ প্রজন্মের শিশুরা। তার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকলেও, তা শুধু আনুষ্ঠানিক! তবে কিছু সহৃদয় আবেগপ্রবণ মানুষ এখনো আছেন যারা, এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ থেকে ২২ বছর আগে বিভিন্ন পেশার অবসরকালীন ফুরসৎ এ অথবা পেশায় হাজারো কাজের মাঝেই সকলের বাঁচানো মূল্যবান সময় দিয়ে তৈরি করেছিলেন “ডানা”।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সুপরিবেশ, সুস্থসমাজ গড়ার নানান উপস্থাপনা নজর কেড়েছে সকলের। শুধু তাই নয়, আধুনিক প্রজন্মের যুবসমাজকে আয়ের সুলুক সন্ধানও দিতে পেরেছেন তারা। তবে পর্দার আড়ালে থেকে, কাজ করার সংখ্যা কমে যাচ্ছে ক্রমাগত! তবুও তো কিছু মানুষ এখনো আছেন! যারা আত্মপ্রচার পছন্দ করেন না, কাজ করতে ভালোবাসেন। এ রকমই ১৬ জনের ডানা নামে একটি পুতুল নাচের দল ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে জমা হওয়া ভিড়ের মাঝে! বিনোদনের ছলে পর্দার আড়ালে থেকেই এগিয়ে দিয়েছেন ঝকঝকে পোশাক পরিহিত পুতুলের মাধ্যমে বিনোদনের ভঙ্গিমা! নিরলস প্রচেষ্টায় সমাজ গড়ার তাগিদে তারা অবিচল।