মলয় দে, নদীয়া :অনেকের বাড়িতেই শীতকালে সজনের ফুলকে বিশেষ গুরুত্ব সহ মধ্যাহ্নের আহারের বিশেষ একটি পদ হিসাবে গ্রহণ করে থাকেন । সজনের ফুলের সাথে কলাইয়ের ডালের বড়ির টুকরো এবং বেগুনের কুচি দিয়ে তৈরি তরকারি যেমন সুস্বাদু আবার অন্যদিকে তেমন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ।
সজনের ফুল শাকের মত রান্না করে বসন্তকালে খেলে এটা রোগ প্রতিষেধক শক্তি হিসাবে কাজ করে । অর্থাৎ এটিকে বসন্তের একপ্রকার টিকা বললে কোনো ভুল কথা বলা হয় না । এটি মানুষের শরীরে প্রায় ২০ শতাংশ প্রোটিন যার গাঠনিক একক হলো আময়াইনো এসিড । শরীরের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ।মেটাবোলিজম এবং শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । এটি শরীরের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মত কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে । শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের ওজন কমানো প্রভৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই সজনের ফুল । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো এইড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কারণ এটি যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে পারলেই শরীরের ডিফেন্স মেকানিজম কে আরো শক্তিশালী করে তোলে ।
আবার অন্যদিকে এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য নি করে , যদিও একদম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ; তাছাড়াও সজনের ফুল অকালে বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন সমস্যাকে দূর করে , এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ।