১০৫ বছর বয়সে, দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে অংশগ্রহণ করা গঙ্গাধরের জীবনাবসান

Social

মলয় দে নদীয়া :- দুঃখ নয় ! আনন্দের সাথে পরলৌকিক ক্রিয়াকর্ম সম্পন্নের কথা সাত ছেলে সহ নাতি-নাতনিদের জানিয়েছিলেন, নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নৃসিংহপুর বাবলাবন এলাকার প্রচণ্ড মানসিক শক্তিসম্পন্ন গঙ্গাধর বিশ্বাস । উল্লেখ্য ২০১৬ সালে গঙ্গাধর বাবুর বয়স ১০০ বছর পূরণ হতেই জি বাংলার এক অন্যতম এপিসোড দাদাগিরিতে মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলীর ডাক পেয়েছিলন! সেখানে তৃতীয় স্থান অধিকার করে চমক দিয়েছিলেন , সমস্ত দর্শকসহ দাদা সৌরভ গঙ্গুলি কেও! মানসিক শক্তির আশীর্বাদ পেতে দাদা পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেছিলেন গঙ্গাধর বাবুর। এরপরেও বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কারে ঘর ভর্তি হয়ে গিয়েছিলো।

কৃষক পরিবারের গঙ্গাধর বাবুর নিয়মিত কৃষি কার্যের ধারাবাহিকতায় এতোটুকু ঘাটতি না পড়ার জন্য। ধান এবং চালের বস্তা নিজেই কাঁধে তুলে নিয়ে যেতেন আড়তে বিক্রি করতে! প্রতিদিন স্নানের সময় গঙ্গা সাঁতরে এপার ওপার করতেন চোখের নিমেষে! মাছ ধরাতেও এ তল্লাটে তার জুড়ি মেলা ভার! তিনি দাদাগীরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন বয়সকে নিয়ে চিন্তা করলে হবে না, সঠিকভাবে শরীরচর্চা করলে শরীরে কোন রোগ জন্মাবে না অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষই দীর্ঘদিন বাঁচাতে পারে! যদি সে নিয়মিত শরীরচর্চা করে। ১০৫ বছর বয়সে বুধবার সকালে গঙ্গাধর বাবু বিনা রোগভোগে স্বর্গ লাভ করেন! অনেকটা ইচ্ছামৃত্যুর মতন।তাঁর ইচ্ছে রাখতেই গ্রামের প্রায় ৫০০ রও বেশি লোক নিয়ে ব্যান্ড পার্টি বাজনা কীর্তন সহ সু সজ্জায় সজ্জিত গঙ্গাধর বিশ্বাসের মরদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে মনোবল বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেননি অনেকেই! গঙ্গাধর বাবু আজ আর নেই! কিন্তু সেদিনের দাদাগিরির মঞ্চের ভালো থাকার এবং বহুদিন বাঁচার পরামর্শ আমরা মেনে চলবো তো! সকলের উদ্দেশ্যে সেদিনের তাঁর মুখ নিসৃত ভালো থাকার টিপস মেনে চললে আমরাও থাকব ভালো, শান্তি পাবে তাঁর আত্মা।

Leave a Reply