সোশ্যাল বার্তা : সাধনা মানুষকে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূরে। জন্ম-মৃত্যুর আড়ালে যেমন প্রতিনিয়ত ঢাকা পরে মানুষের অস্তিত্ব, তেমনি কিছু একনিষ্ঠতা, কিছু সাধনা, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর তীব্র স্পৃহা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তার মৃত্যুর পরেও। তেমনই এক সাধকের নাম, নাম জয়নুল আবেদিন।জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালের ২৯শে ডিসেম্বর বর্তমান বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম তমিজউদ্দিন আহমেদ এবং মা জয়নাবুন্নেছা। তিনি ছিলেন পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র।
বাংলাদেশের মহান চিত্রশিল্পী শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৬ তম জন্মবর্ষ পালন কৃষ্ণনগরের একদল চিত্রশিল্পী। কৃষ্ণনগর কলেজষ্ট্রীটের কাছে একটি বাড়ীর ছাদে দশ ফুট বাই আট ফুট কাঁঠালপাতা দিয়ে একটি কোলাজের মাধ্যমে অবয়ব এঁকে বিশিষ্ট শিল্পীর জন্মদিন পালন করে মোট দশজন শিল্পী মিলে।
দূষণের কারনে পৃথিবী ক্রমশ তার আবহাওয়ার বদল ঘটাচ্ছে। বাড়ছে মানসিক অসুখ,দেখা দিচ্ছে অতিমারী,পরিবেশ বিষাক্ত, ক্রমশ প্রাণীকুল অবলুপ্তির পথে। সেই বার্তা দিতেই দুই দেশের শিল্পভাবনা কে আরও নান্দনিক করে তুলতে কৃষ্ণনগরের শিল্পীদের এক অভিনব বার্তা শিল্পীর জন্মদিন পালন করে।বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল, আর এই কাঁঠাল পাতা দিয়েই শিল্পীদের হাতে প্রান পেলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মুখাবয়ব। এই অভিনব ভাবনা কৃষ্ণনগরের মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।