মলয় দে নদীয়া:- পিকনিক পরিবারের খুশি, নিজেদের আনন্দ! কিন্তু এ বছর উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর থেকে নদীয়া শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া ফেরি ঘাটে পিকনিক করতে এসে, জীবনের মানে বদলে ফেললেন, রাজ কুমার পাল, নবীন হালদার, দিবস বড়ুয়া, সুজিত মন্ডল, সুমিত সাহা, অসীম চক্রবর্তী র নতুন অনেকে এবং তার পরিবারও।
গত ২৬শে ডিসেম্বর শ্যামনগরের বিবেক নগরের যুব সংঘের সদস্যরা গাড়ি করে পিকনিক করতে এসেছিলেন নদীয়া শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া ঘাটে। সারা দিন মজা করার পর যখন খেতে বসেছিলেন! দেখেছিলেন অভুক্ত কিছু ইঁটভাটার বাচ্চা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে! অনেকেরই তখন খাওয়া হয়নি! তাই সবটুকু বিলিয়ে দিয়ে, অনেক বেশি আয়োজন নিয়ে আবারও আসবেন শান্তিপুরে বলে মনে করেছিলেন ক্লাব সভাপতি প্রভাত কুমার মিশ্র।
রবিবার সেই শুভ দিন! প্রায় ১০০০ জনের সকালের টিফিন দুপুরের মাংস ভাত, এবং শীতের পোশাক সহযোগে রীতিমতো ম্যাটাডোর গাড়ি নিয়ে পিকনিক করতে পৌঁছেছেন তারা। তবে গতবারের নিমন্ত্রিত সকলকে পেট ভরে খাইয়ে, ভালবাসার উষ্ণ পোশাকে, শীতের ফল কমলা লেবু হাতে দিয়ে যে পরিমান খুশি হয়েছেন গৃহবধূরা! তা কোন বড় পিকনিক স্পটে নিয়ে গেলেও সম্ভব হতো না বলেই মনে করেন পরিবারের পুরুষেরা। শিশুদেরও খুব আনন্দ! ইঁটকাঠে বন্দি থাকা শৈশব! খেলার সাথী পেয়ে সারাদিন কেটেছে হৈ-হুল্লোড়ে। সারাদিন হঁসেল সামলানো মায়েরা মায়েরাও খুশি, একসাথে এত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে, এবং নিজের সন্তানকে কাজে লিপ্ত করতে পেরে। তাই তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন শুধু আগামী বছর নয়! প্রতিবছরই এইখানেই আসতে চান তারা।