অঞ্জন শুকুল, কৃষ্ণগঞ্জ, নদীয়া: টিউব বন্দি নলেন গুড় মিলবে এবার অনলাইনে। মাথার উপর কোভিডের খাড়া নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর ঝুঁকি নেয়। ভিড়ের মধ্যে বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ঘরে বসে স্মার্ট ফোনে দু লাইন লিখলেই কেল্লাফতে। তৎক্ষণাৎ টাটকা নলেন গুড় পৌঁছে যাবে বাড়ির দরজায়। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদি ও গ্রামীণ শিল্পপর্ষদ অনলাইনের পাশাপাশি মিষ্টির দোকান ও শপিং মলে মজুত রেখেছে এই গুড়। আসলে পর্ষদের লক্ষ হলো গুণগত মানের নলেন গুড় কে আরো বেশি করে বাজার জাত করে তোলা। শীতের মরসুম মানেই পিঠে পার্বণ। আর পিঠে পার্বণ তৈরিতে যথার্থই প্রয়োজন এই গুড়। বাঙালির এই আবেগ কে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্য বসতি লক্ষীর নীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে পর্ষদ। বছর তিনেক আগে টিউব বন্দি হয় বাংলার নলেন গুড়। বাজারে আসতে তুঙ্গে উঠেছিল এর জনপ্রিয়তা। টুথপেস্ট আকৃতির টিউব তাতে ভর্তি গুড়। ছ মাস পর্যন্ত টিউব এর গুড় ভালো থাকবে দাবি প্রস্তুত কারকদের। ক্রেতারা হাতে গরম প্রমাণও পেয়েছেন আগের দুবছর। তার ফলে চাহিদা বেড়েছে উত্তর উত্তর। চলতি মরসুমে সকলের ঘরে পৌঁছে দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ।
নদীয়ার মাজদিয়ার ভাজনঘাটে তৈরি হয় বহু আকাঙ্খিত এই নলেন গুড়ের টিউব। গত সোমবার প্যাকেট বন্দি হয়ে পর্ষদ এর দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছে এই টিউব। এবার তা খাদির আউটলেটে ও বিশ্ববাংলা স্টলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। প্রতিটি টিউবে রয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ মিলি গুড়। পাওয়া যাবে শহরের একটি প্রসিদ্ধ শপিং মলে। পর্ষদ কর্তাদের সংবে সে রকমই আলোচনা চলছে বিপণন সংস্থা কর্তৃপক্ষের বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি শহরের একাধিক নামজাদা মিষ্টির দোকানেও আউট লেটারের মাধ্যমে এই নলেন গুড়ের টিউব গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে নলেন গুড়ের টিউব যাতে সাধারণ মানুষজন বাড়িতে বসেই পেতে পারেন সে ব্যাপারে অনলাইনে ব্যাবস্থা কে আরো ঢেলে সাজাচ্ছে পর্ষদ। শীতের সময় নলেন গুড়ের চাহিদা থাকে প্রচুর। এবার কোভিড মহামারিতে ঠিক মতো নলেন গুড়ের টিউব পাবেন কিনা তা নিয়ে ঘোর চিন্তায় ছিলেন সাধারণ মানুষ। তাদের এই চিন্তা মুক্তির জন্য ভাজন ঘাট নলেন গুড় সংস্থার চেয়ারম্যান রজত হালদার জানালেন করোনার কোনো প্রভাব এই টিউব নলেন গুড়ে পড়বে না। প্রতিবছর যেমন প্রতিদিন সতরে থেকে আঠারশো টিউব নলেন গুড়ের কাজ চলছে। আর কৃষকরা আশানুরূপ দাম পাচ্ছে রসের ফলে এই নলেন গুড় বিশ্ব বাজারে আগের মতোই নজর করবে দাবি উদ্যোক্তাদের।।