মলয় দে, নদীয়া :- আজ ১৭ই ডিসেম্বর ! আর মাত্র আটটা দিন, বড়দিনের খুশিতে মাতোয়ারা হতে চলেছে সারা পৃথিবী। বাংলায় ক্রিশ্চিয়ান ধর্মালম্বী মানুষের সংখ্যা কম হলেও, আবেগে ভাটা পড়ে না এত টুকু! উৎসবে সেজে ওঠে পাক স্টিট থেকে প্রত্যন্ত গ্রামও। বাংলার ঘরে ঘরে, পিঠে পুলির মতো কেকের আয়োজন, বনভোজন, চার্চ ভ্রমণের মত বিভিন্ন আনন্দ উপভোগ করেন সব ধর্মের মানুষই। তাই হয়তো কবির ভাষায় বিবিধের মাঝে মিলনের সমাহার এই ভারতবর্ষে ধর্ম নিজ নিজ কিন্তু উৎসব সকলের!
আর শিশুদের কাছে বড়দিন মানেই, ঘুমের মধ্যে সান্তাক্লজের উপহার!
বিভিন্ন দোকানে ক্রেতা মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে, সান্তাক্লজের মডেল সেজে শিশুদের লজেন্স দেওয়া সান্তাক্লজেরা, কেমন ছিলেন লকডাউনের মধ্যে! অতীতে খবর নিতে গিয়েছিলাম আমরা।
তখনকার সেই বেরোজগার বিষন্ন মুখ , আজকের সান্তাক্লজের মুখোশের ফাকে আসল মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে! এ রকমই একটি কেকের দোকানে দুটি ভাড়া পেয়েছেন নদীয়ার শান্তিপুর শহরের সঞ্জু, অমিত। তাদের বাবা বাসুদেব বিশ্বাস, পেশায় বহুরূপী শিল্পী। ভাড়া পাওয়ার সুবিধার্থে সান্তা ক্লজ, মটু পাতলু ,চার্লি চ্যাপলিন, গোপাল ভাঁড়, নেতাজি, বিবেকানন্দ সহ বিভিন্ন মনি ঋষিদের পোশাকও কিনে রেখেছেন। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, তাই বাড়ির মহিলারা সান্তাক্লজের পোশাক , দাড়ি চুল টুপি মোজা সাজের নানান উপকরণ গুলি কেচে ধুয়ে শুকিয়ে রাখছেন। তারা আশাবাদী তাদের কাছে থাকা দশটি পোশাকই ভাড়া হবে মানুষ সহ।