মলয় দে, নদীয়া :- সমাজের সব অংশের ভালো খারাপ, সুখ-দুঃখ দৈন্যতা, পারস্পারিক সম্পর্ক, চাওয়া পাওয়া, ভালোবাসা , আশা-প্রত্যাশা হতাশা সবটাই তুলে ধরে নাটক থিয়েটার। তাই নাটক প্রবাহমান থামে না কখনো! করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও, গৃহবন্দী ছিল শরীর, মনের বাঁধন দিতে পারিনি করোনা পরিস্থিতি।
আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই ক্ষতিসাধিত হলেও বেশ কিছু, জীবনযাত্রা অভ্যাস, সামরিক কিছুদিনের জন্য হলেও চেতনার বিকাশ, পারিবারিক বন্ধন , বহুদিন না দেখা করতে পারার ফলে মনের কোণায় জমাকৃত আকাঙ্ক্ষা, কর্মব্যস্ততার অজুহাতে খোঁজখবর না নেওয়া আত্মীয়, বন্ধুত্বের সম্পর্কের পুনরুদ্ধার এইরকমই অনেক কিছু প্রাপ্তি হয়েছে আমাদের। প্রবন্ধকার,নাট্যকার , অভিনয় শিল্পী তাদের মতো করে ফুটিয়ে তুলবেন আগামীতে। যা দেখে আমাদের মনের পুষ্টি যোগাবে, তৃপ্ত হবে আত্মা! অনেক না দেখা , না জানা বিষয় থেকে শিক্ষা লাভ করবো আগামীর চলার পথ। জীবনের ইঁদুর দৌড় থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিয়ে কেউ কেউ এমন অনেক কিছুই তুলে ধরেন, তাদেরই হয়তো আমরা শিল্পী বলে থাকি।
আজ নদীয়া শান্তিপুর লাইব্রেরী মাঠ থেকে রঙ্গপীঠের পরিচালনায় সকাল নটায়, সমাজের সব অংশের মানুষের পদযাত্রায় পরিক্রমণ হল সারা শান্তিপুর। নাট্যকর্মীদের মতে, মহামারী বিপর্যস্ত দমবন্ধ সময়ে, মুক্তবাতাস ফুসফুস ভরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৭ তম নাট্যমেলায় পদযাত্রার আয়োজন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই নাট্যমেলায় উদ্বোধন করতে চলেছেন পৌলমী বসু। হরিণের সঙ্গে খেলা, খাঁচার পাখি, ভানু সুন্দরীর পালা, হাঁসখালির হাঁস, খবরী, জোলা আর সাত ভূত, ঈদগাহ, অথ হিড়িম্বা কথা, এইরকমই নানা নাটক মঞ্চস্থ করতে আসছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলাকুশলীরা।
আগামী ১৬ ইডিসেম্বর পদযাত্রা এবং ঝুমুর গানের মাধ্যমে শেষ হবে রঙ্গপুর নাট্যমেলা দুই হাজার কুড়ি। আয়োজকদের অনুরোধ শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী ময়দানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মৃতিমঞ্চে “তবু দেখা হোক “