আবারও গাফিলতির অভিযোগ বাহাদুরপুর পলাশগাছি অফিসের, বিলম্বে হলেও রেঞ্জারের তৎপরতায় উদ্ধার পেঁচা

Social

মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়া জেলার শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত আতা বুনিয়াগোস্বামী পাড়া লেনে এর এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ উদ্ধার হলো একটি বিরল প্রজাতির পেঁচা। এলাকার বাসিন্দারা পেঁচাটিকে দেখতে পেয়ে শান্তিপুরের বাহাদুরপুর পলাশগাছী বিট অফিসের বিট অফিসার নিরঞ্জন বাবুকে ফোনে জানান। কিন্তু নিরঞ্জনবাবু বলেন বাড়ির লোক না থাকলে উদ্ধার করা যাবে না ও ফোন কেটে দেন। উৎসাহী কিছু মানুষ হাজির হন পেঁচাটিকে দেখার জন্য। খবর পেয়ে হাজির হন সাংবাদিকেরা । পুরো বিষয়টি জানানো হয় কৃষ্ণনগর রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাসকে। দেবাশীষ বিশ্বাসের তৎপরতায় দুইজন কর্মী এবং স্থানীয় পশুপাখি প্রেমী অনুপম সাহা রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ উদ্ধার করে পেঁচাটিকে।

পেঁচাটিকে উদ্ধার করে বাহাদুরপুর পলাশগাছী ফরেস্টে নিয়ে যায় বনদপ্তরের কর্মীরা । এলাকাবাসীদের দাবী বিপুল অর্থ খরচ করা হয় বনদফতরে কিন্তু প্রয়োজনের সময়ে বাহাদুর পলাশগাছী ফরেস্টের বিট অফিসার নিরঞ্জন বাবুকে ফোন করলেও ফোন ধরেন না বা কাজের গড়িমসি করেন। এলাকায় সাপের দেখা মিললেও তিনি সহজে আসতে চান না। লাগাতার এমন হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন তারা ।

আগত বনদপ্তরের প্রতিনিধির কাছ থেকে জানা যায়, ওই অঞ্চলে বেশকিছু পেঁচা বসবাস করে। গতকাল উদ্ধারকৃত ওই পেঁচাটির বাঁ পায়ে কোন কারনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই বন্ধ বক্সজানলার ভিতর মধ্যে ঢুকে পড়ে।
এলাকাবাসীরা জানান ওই গৃহস্ত বাড়ি থাকলে , পেঁচাটির উপর লক্ষ্য রাখতে পারতেন, সেক্ষেত্রে সকালে উদ্ধার করলেও কোন অসুবিধা হতো না। কিন্তু তার বাড়ি না থাকার কারণে, একেবারে রাস্তার পাশে হাতের নাগালে পেঁচাটি থাকার কারণে, চোরা শিকারিদের খপ্পর থেকে বাঁচানোর জন্যই এতবার বনদপ্তর এর ফোন করেছিলেন তারা।

রাতের মধ্যেই পেঁচাটিকে উদ্ধার করায় বনদপ্তরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান এলাকার বাসিন্দা ।

Leave a Reply