মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার টাউনশিপ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উদয় পুর মৌজার 1235,36 পথের পাশে একটি নয়নজলি ভরাটকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর চলে পঞ্চায়েত এবং ফুলিয়া বিদ্যামন্দির বিদ্যালয় এর মধ্যে। পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক “জানান বিদ্যালয়ের একেবারে শেষ অংশ থেকে একটি মাঠ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তারপরে এই নয়নজলি, যেখানে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি থাকতো এতদিন সেখানেই গ্রামের শিশু এবং বার্ধক্যের কথা ভেবে এখানে একটি ছোট্ট পার্ক করার চেষ্টা করছি এলাকাবাসীর কথা মাথায় রেখে। এই জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতের অন্তর্গত।”
এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যা জানান, আজ বিদ্যালয় থেকে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের বিডিও অফিসে ডেপুটেশন নিয়ে যাওয়া হয়েছে, অভিভাবকদের না জানিয়েই।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শক্তি প্রসাদ চক্রবর্তী জানান অল্প কিছুদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন, স্কুলের সাথে বহুদিন যুক্ত আছেন এমন বহু মানুষের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন স্কুলের পরে মাঠ এবং নয়নজলিটি স্কুলের বলেই জানেন, তবে এ বিষয়ে বি এল এর কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের আর এক শিক্ষক জানান আরো বহু জায়গা থাকা সত্ত্বেও বেছে বেছে স্কুলের মাঠের সামনের জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে এই কাজের জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে নোংরা, ময়লা পড়ে থাকে। তা থেকে পার্ক হলে পরিবেশ ফিরবে গ্রামের। ওই বিদ্যালয়ের বাচ্চারাও খুশি হবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় বিডিও সুমন দেবনাথ, প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছেন, জায়গাটি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, তাই 100 দিনের কাজের মাধ্যমে জায়গাটির নোংরা পরিবেশ থেকে গ্রামকে সুন্দর একটি পার্ক উপহার দেয়ার উদ্দেশ্যে এই কাজ হাতে নিতে বলা হয়েছে প্রধান কে।
প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে ভিডিও সুমন দেবনাথ আজ মিটিং করেন। তাদের কেউ আশ্বাস দেন আগামীতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর শুরু হবে কাজ।