সোশ্যাল বার্তা : দীপাঞ্জন মন্ডল বাড়ি নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার চিত্রশালীর হাজারীনগর গ্রামে। পেশায় সে গেঞ্জি কারখানার একজন কর্মচারী। প্রতিটা দিন কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটে। প্রতিদিন এর রুটিন মতো গতকালও বাড়ি থেকে কারখানায় আসেন কাজ করতে।
সকাল বেলা দশটা বেজে দশ মিনিটে তার মোবাইলে একটি ফোন আসে সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে রক্ত জোগাড় করে দেওয়া “প্রচেষ্টা” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।
রক্ত দিতে পারবেন কিনা জানতে চান সংস্থাটির একজন সদস্য। সে নিজের কাজের কথা না ভেবেই নদীয়া জেলার শক্তিনগর হাসপাতাল এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত নদীয়া জেলার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পরশু দিন রক্তস্বল্পতা নিয়ে ভর্তি হন শীলা সাহা। চিকিৎসক জানিয়ে দেন দিতে হবে রক্ত। কিন্তু ভদ্রমহিলার রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ। রক্ত জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাই শক্তিনগর হাসপাতালে অপেক্ষা করছিলেন ভদ্রমহিলার ছেলেচিন্ময় সাহা বাবু। রক্ত জোগাড় করতে না পেরে যোগাযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে অবশেষে তাদের সহযোগীতায় দীপাঞ্জন এসে চিন্ময় বাবুর মুখে হাসি ফোটায়।
দীপাঞ্জন মণ্ডল জানান
“রক্তদান করে একজনকে বাঁচাতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশী হয়েছে। উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই কামনা করি।
বর্তমানে সকলেই প্রায় কর্মব্যস্ত। এই কর্ম ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে বেশিরভাগ মানুষ সামাজিকতার দিকটা ভুলে যায়। কিন্তু দীপাঞ্জন এর মতন মানুষ এখনো বেঁচে আছে।
সংস্থার একজন সদস্য জানান ” সবাইকে রক্ত দান করার জন্য আহ্বান জানান । মানুষ মানুষের জন্য।”