প্রীতম ভট্টাচার্য,নদীয়া: রেউই গ্রামের শহরে রুপান্তরের পর রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শাসনকালে পথ নির্দেশিকা প্রচলন করা হয় চারটি চক বা রাস্তার মোড় হিসাবে। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে রাজবাড়িকে কেন্দ্র করে পথ নির্দেশিকা রুপে গঠন করা হয় চারটে চকের। এই চারটি চক হলো গোবিন্দসড়ক, চাঁদসড়ক, নতুন সড়ক ও বৈকুন্ঠসড়ক।
যারা বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করবে তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য চক বা মোড়ের প্রচলন শুরু হয়।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে ছিলো গোবিন্দ সড়ক, এখন যাকে বলা হয় পোষ্ট অফিস মোড়। দোগাছি বা কবিগুরু রোড বরাবর বৈকুন্ঠসড়ক, রাজবাড়ির চকেরপাড়া সোজা রাস্তা নতুনসড়ক, মোংলা পাড়া, বাঘাডাঙ্গা সংলগ্ন রাস্তার মোড় চাঁদসড়ক।চাঁদসড়ক বারোয়ারীতে দুর্গা ও কালীপুজো হলেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয় না।
রাজার সময় থেকে প্রায় ২৫০ বছর ধরে চলে আসছে গোবিন্দসড়ক বারোয়ারীর পুজো। নতুনসড়ক ষষ্ঠীতলা হৈমন্তীমাতার পুজোও বেশ পুরানো। বৈকুন্ঠ সড়কে সেরকম কোনো পুরানো পুজো বা জগদ্ধাত্রী বারোয়ারী পাওয়া যায়নি।
এখানে একদিকে পঞ্চায়েত ও আর একদিকে পৌরসভা। আগে মানুষের বসবাস ছিলো না বললেই চলে। শহর আধুনিক ও বিস্তার লাভ করায় আস্তে আস্তে এসব জায়গায় বসতি গড়ে ওঠে। এখানে বেশীর ভাগ পুজো ক্লাবের খুব বেশীদিনের পুরানো নয়। আগে এই চকের নাম করে মানুষ শহরে তাদের বিভিন্ন কাজে প্রবেশ করতো।
কৃষ্ণনগরে এই চারচকের তিন পুজো আজও ঐতিহ্যবহন করে চলেছে পথনির্দেশিকার।