মলয় দে, নদীয়া:- দশটি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা গতকালের, ভারত বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল নদীয়ায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণ, পেনশন স্কিম, রেগার কাজ ১০০ দিনের পরিবর্তে ২০০ দিন করা, আয় করের আওতায় বহির্ভূত পরিবারকে প্রতিমাসে ৭৫০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা, ১০কেজি করে প্রতিটি পরিবারেকে রেশন প্রদান, নতুন কৃষক বিরোধী কৃষি আইন এর বিলুপ্তিকরন এইরকমই সাত দফা দাবিকে সামনে রেখে এই ধর্মঘট বলে জানা যায়।
কৃষ্ণনগর রানাঘাট চাকদা, শান্তিপুর,কল্যাণী তেহটটো করিমপুর সর্বত্রই দেখা গেলো বন্ধের পক্ষে জাতীয় কংগ্রেস এবং সিপিআইএম দলের নজরদারির স্বপক্ষে মিছিল পদযাত্রা করতে। তবে বিভিন্ন জায়গায় সবজির দোকান খোলা ছিল । বুধবার পর্যন্ত বন্ধের বিরোধিতা করতে পথে নামতে দেখা গিয়েছিলো বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। গতকাল অবশ্য কোথাও সেই চিত্র দেখা যায়নি।
সকালের দিকে প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে না পড়লেও বেলা গড়াতেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে জাতীয় সড়কে যান চলাচলের স্বাভাবিক ব্যবস্থা করে পুলিশ।
শান্তিপুর শহরের একটি জায়গায় রেললাইনের উপর বিক্ষোভকারীরা বসে পড়লে তাদের সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে জেলায় কোন বড়োসড়ো দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রত্যেকটি শহরের মূল প্রাণকেন্দ্রে বাজার, ব্যাংক বন্ধ থাকলেও শহরের প্রধান রাস্তা থেকে একটু ভেতরে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো বলে জানা গেছে। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় শ্রমিকরা বাস চালাতে রাজি হননি ফলে চলেনি বাস । নদীয়ার সিপিআইএম নেতৃত্ব জানান সাধারণ মানুষ বনধের সমর্থন করেছেন ,তাই বন্ধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছেন।