কৃষ্ণনগরে মালাকার সম্প্রদায়ের হাতে তৈরী হয় প্রতিমার ছটা ও সাজ

Social

প্রীতম ভট্টাচার্য : কঠিন পরিশ্রম না করলে হয়তো ভগবানের দেখা মেলে না। ভগবান নিজেই তার জোগাড় করে নেন। কিন্তু যারা এই কঠিন পরিশ্রম করে রুপ দেন প্রতিমার তাদের কথা আমরা কজনে জানি!

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি সংলগ্ন একটি পাড়া বাগদী পাড়া। যেখানে কয়েকঘর মালাকার বা বাগদীদের বাস।সময়ের পরিবর্তনে তাদের জীবিকারও কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু সারা বছর এই অঞ্চল থেকে বাড়ির মেয়ে, বউ ও পুরুষেরা মিলে তৈরী করে ঠাকুরের সাজ ও ছটা। ছটার বিশেষত্ব হলো জাভা বাঁশ। এই বাঁশ আসে বিভিন্ন জেলা থেকে। সেই বাঁশ কে কেটে তৈরী ঠাকুরের চালি বা ছটা, তারপর শোলার সাজে সজ্জিত করা হয়।

এখানকার শোলার কাজ শহর, গ্রাম, ও বিদেশেও পাড়ি দেয়। দুর্গা পুজো থেকে সরস্বতী পুজোয় এই ছটার চাহিদা খুব। সারাবছর ধরে এই অঞ্চলে শোলাশিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এইসব প্রতিমা সজ্জিত হয়। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় এই সব শিল্পীরা নিজেদের কাজকে আরও সুন্দর করতে কত ভালো ছটা সাজাতে পারে। ছটার আবরনে ফুটে ওঠে প্রতিমা। এখানে অনেক শিল্পীর শোলার কাজ পুরস্কৃত হয়েছে।

মাটির পুতুল আর সরভাজার শহরে জগৎজননীর অন্য ঘর এই বাগদী পাড়া। যেখানে জগৎমাতা সজ্জিত হয় শিল্পগুনে শিল্পীর নান্দনিকতায়।

Leave a Reply