দুর্ঘটনাকবলিত হনুমান বনদপ্তরের, চিকিৎসা করাতে গিয়ে সরকারি পশু চিকিৎসালয়ে বাকবিতন্ডা

Social

মলয় দে নদীয়া:- আজ দুপুর বারোটা নাগাদ ফুলিয়া প্রফুল্ল এলাকা থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হনুমান ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর বনদপ্তরকে ফোন করলে বাহাদুরপুর পলাশ গাছের অফিস থেকে দুজন প্রতিনিধি এসে উদ্ধার করে ওই হনুমানটিকে। এরপর শান্তিপুর সরকারি পশু চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন তারা। দীর্ঘক্ষন ডাক্তার বাবুর প্রতীক্ষায় থাকতে হয় তাদের, অবশেষে তিনি এসে নানান প্রশ্ন করতে থাকেন বনদপ্তরের প্রতিনিধিদের। দুই তরফে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যেতে দেখা যায় উত্তেজিতভাবে।

বনদপ্তর সূত্রে জানা যায় যেকোনো দুর্ঘটনায় মানুষের মতনই বিনা কৈফিয়তে প্রথমেই চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন। অজানা এক গুরুতর আঘাতে হনুমানটির বাঁহাত বেশ খানিকটা মাংসপিণ্ড উঠে যায়, ডান পা ভেঙে যায় ও পিঠে একটা বড় অংশ আঘাত লাগে , স্বভাবতই জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবার না পেলে মৃত্যু হতে পারতো ওই হনুমানটির। অন্যদিকে স্থানীয় অন্যান্য পশু নিয়ে চিকিৎসা করতে আসা বেশ কিছু ব্যক্তি ওই হনুমানের চিকিৎসার গাফিলতিতে বিষয়টি লক্ষ্য করে উত্তেজিত হয়।

সাধারণ মানুষ দাবি তোলেন ওই ডাক্তার বাবুর অনুপস্থিতির ফলে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ ছিলো এই পশু হাসপাতাল। বহু গবাদি পশু মারা গিয়েছে সরকারের এত খরচ করা হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও। ঔষধের সিরিঞ্জ, ঔষধ সবটাই বাইরে থেকে কিনতে হয়! ওই ডাক্তারবাবুর অমানবিক ব্যবহারের ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশ্ন তোলে সরকারি বনদপ্তর হনুমান উদ্ধার করে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসবে তাও আবার এত সমস্যা ? যদিও বিষয়টি নিয়ে বনদপ্তর মুখ খুলতে চায়নি।

Leave a Reply