মলয় দে, নদীয়া :-কার্তিক পুজো বা কার্তিক লড়াইকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকে সর্বাঙ্গীনভাবে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে নবদ্বীপ ব্লকের অন্তর্গত ইদ্রাকপুর গ্রামে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বিচার করলে এই গ্রামটিকে তিনদিকে জলাধার দ্বারা আবৃত একটি দ্বীপ বলা চলে। একটিমাত্র মাটির রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে হয় গ্রামের অভ্যন্তরে। আনুমানিক দশ হাজার মানুষ বসবাস করেন এই গ্রামে। প্রতিবছর কার্তিক পুজো বা কার্তিক লড়াইয়ের উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয় এই গ্রামে। গ্ৰামে বসবাসকারী বহু মানুষ যারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তারা প্রতিবছর এই দিনটিতে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয়দের সাথে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামে মহিষমর্দিনী, গঙ্গা মাতা, কৃষ্ণকালী সহ মোট কুড়ি থেকে পঁচিশটি প্রতিমার পুজো হয়।পুজোর শেষে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় নদীতে। উৎসবের কদিন আলোর রোশনায় ভরে যায় সম্পূর্ণ গ্রামটি। কিন্তু এই বছর করোনা আবহের কারনে জাঁকজমক তায় ভাটা পড়েছে ইদ্রাকপুর গ্রামের প্রধান এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। আসছে না বাইরে থেকে ভাড়া করা কোনো বাজনার দল। পুজোর ক’দিন শুধুমাত্র ঢাক বাজবে পূজামণ্ডপগুলোতে এছাড়াও প্রতিমা নিয়ে সভাযাত্রাও হবে না এই বছর। শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষা করতে পূজা কমিটিগুলি মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে পূজার আয়োজন করেছে বলে এই দিন জানান গ্রামের বাসিন্দা তাপস ঘোষ।
সরকারি নির্দেশ কে মান্যতা দিয়ে ও স্বাস্থ্য বিধি অবলম্বন করে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে থাকছে স্যানিটাইজার ও মাস্ক এর ব্যবস্থা।দর্শনার্থীরা যদি মাস্ক না পরে মন্ডপে আসেন তাহলে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয়। বোঝানো হয় স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সহ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে। এছাড়া এই দিন তাপস বাবুকেও নিজে হাতে মাস্ক ব্যবহার করাতে দেখা যায় মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করতে আসা বেশকিছু শিশু ও মাস্ক বিহীন মানুষকে।