লক্ষ্মী পুজোয় ফল মিষ্টান্ন আনুষাঙ্গিক জোগাড় হলেও ভক্তবৃন্দ হিমশিম খাচ্ছে “তালফোঁপড়া”য়

Social

মলয় দে, নদীয়া:- প্রাচীনকাল থেকেই ধন – ঐশ্বর্য্য ও সম্পদ এবং প্রাচুর্যের দেবী হিসাবে পুজিত হয়ে আসছেন লক্ষ্মী দেবী । দুর্গা পুজোর পরেই পূর্নিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো । সাধারণের ঘরে ঘরে গন্ধ পুষ্প , বিল্ল পত্র সহযোগে এবং কাঁসর , ঘণ্টা ও কোনো প্রকার বাদ্য ছাড়াই লক্ষ্মীর আরাধনা করার রীতি রয়েছে প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রানুযায়ী ।

নানা বিধ ফলমূল ও নৈবেদ্য সহ পূজিত হলেও সমস্ত ফলের মধ্যে আঁখ, বাতাবিলেবু তালের ফোঁপোড় ও নারকেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে । তবে নারকেল এবং তালের ফোঁপড় ফলদুটিকে লক্ষ্মী পুজোর বিশেষ গুরুত্বের সাথে মান্যতা দেওয়া হয় । সারা বাজারে সরগরম হলেও হাতে গোনা মাত্র কয়েক টি জায়গাতে তালের আঁটি বা ফোঁপোড়েরর সন্ধান মিললো। তাও বোধহয় আমাদের মফস্বল অঞ্চল বলেই!কলকাতা শহরতলি এলাকায় এই বিশেষ প্রকারের ফলের বীজের শাঁস জোগাড় করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। আর নারকেল জোগাড় করা গেলেও তাও ১০০ টাকায় দুটো।

মূলত বাংলার ভাদ্র মাসে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর পর তালের আঁটি কে উচ্ছিষ্ট অংশ হিসাবে ফেলে দেওয়া হয় । আবার অনেকে তাদের বাড়িতেই মাটিতে ফেলে রাখেন । আর আশ্চর্য জনক ভাবে এই আঁটি র ভিতরে বংশ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ফোঁপড়ের জন্ম নেয় , সেটাই লক্ষ্মী পুজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হিসাবে বিবেচিত হয় । এবছর জন্মাষ্টমী অনেক আগে হওয়ায় তালের দাম ছিল আকাশছোঁয়া ! দশ কুড়ি টাকার তাল জোগাড় করতে হয়েছে দেড় দুশ টাকায় । পুজো হওয়ার পর ১৫ দিন বাদে অবশ্য মূল্যবান এই ফল গড়াগড়ি খেয়েছে তালতলায় । অনেকে গোটা তালের আঁটি লক্ষ্মী দেবীর সামনে সাজিয়ে দেন , আবার অনেকে তালের আঁটি থেকে ফোঁপড় কেটে নৈবিদ্যতে সাজিয়ে দেন । তবে লক্ষ্মী দেবীর বিশেষ মিষ্টান্ন হিসাবে , রংবেরঙের গম্বুজাকৃতি কখনো ছাঁচে তৈরি কদমা,নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ু , গুড়ের পাটালি, গজা ,পক্কান্ন , তিলের নাড়ু , মুড়ি খইয়ের মোয়া প্রভৃতির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ।

Leave a Reply