সামাজিকতার দায়বদ্ধতা ও স্বনির্ভর হতে মাটিরপ্রদীপ বিক্রি প্রকৃতি বিলাসের

Social

মলয় দে নদীয়া : সমাজের প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে নদীয়ার শান্তিপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মেয়েরাও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো মানবিকতার কারণে কিন্তু তারা অনুভব করে অর্থ ছাড়া সব কিছুই অনর্থ! পরিবার প্রধানের কষ্টার্জিত অর্থ চেয়ে কতদিনইবা চলবে? প্রয়োজনের তাগিদে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে শ্রীদত্তা, পায়েল যুক্তামুখী, শম্পা, ঝুমা, দীপান্বিতাদের মতো বেশ কিছু মেয়েরা জোট বেঁধে তৈরি করেছিলো “প্রকৃতি বিলাস”। ক্ষতিকারক কেমিক্যাল বর্জিত প্রাকৃতিক উপাদান এর গুনাগুন বজায় রেখে সাবান, কাপড়ের ব্যাগ, ডালের বড়ি,মাটির তৈরি গৃহস্থালির নানান প্রয়োজনীয় পাত্র, ঘর সাজানোর নানান সৌখিন দ্রব্যাদি, পোড়ামাটির অলংকার নানান কিছু বিক্রি করতে শুরু করলো বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং তাদের পরিবারের কাছে। এবারে তাদের নব সংযোজন “মাটির প্রদীপ” ।

কয়েকদিন বাদেই দীপাবলি ১৪ প্রদীপ দেওয়া প্রতিটি ঘরে ঘরেই! শুধুমাত্র পৌঁছাতে পারলেই উপার্জন! তাও যদি হয় রকমারি, সিংহ প্রদীপ, হাতি প্রদীপ, ময়ূর প্রদীপ, কুলো প্রদীপ আরো কত কি! পঞ্চপ্রদীপ, সপ্তপ্রদীপ, একুশ প্রদীপের রংবাহারি সেট। কারুকার্যখচিত অভিনব মাটির প্রদীপ তাহলে তো কথাই নেই! সংগঠনের পক্ষ থেকে মোহর দে বিশ্বাস জানান “তাদের পছন্দমতো ডিজাইন অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাইড্রোলিক প্রেসে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিল্পীকে দিয়ে প্রাথমিকভাবে এবছর বানালেও, আগামীতে নিজেরাই বানাতে সক্ষম হব। এখনও বেশ কিছুদিন বাকি দীপাবলির ! এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবি দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন কেনার জন্য। এ বাদেও শান্তিপুর ডাকঘর রবীন্দ্র কাননের সামনে এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়মিত বিকালে বসছে প্রকৃত বিলাসের হাট।”

 

বিক্রির উদ্দেশ্যে উদ্যোগী মেয়েরা পৌঁছে যাচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে। তাদের কাছ থেকে জানা যায় জেলমোম অর্থাৎ অত্যন্ত স্বচ্ছ এই মোম তৈরির প্রস্তুতি চলছে! যেটা সকলের কাছে হয়ে উঠবে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিষয়।

Leave a Reply