মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুরের কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের বসতবাড়ি জবর দখল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে উঠেছে একাধিকবার। বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারা সত্ত্বেও এক পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। তাদের বক্তব্য মৌখিকভাবে কবি তাদের থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন তাদের পরিবারকে। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন বসতবাড়ি সংলগ্ন একটুকরো জমিতে একটি লাইব্রেরী এবং সংগ্রহশালা হলে আপত্তি কোথায়? এ বিষয়ে সারা শান্তিপুরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন কিছু মানুষ কবি স্মৃতি রক্ষা কমিটি তৈরি করে রাস্তার পাশে তারই বসতবাড়ির জমির সামান্য একটি অংশের লাইব্রেরী, এবং সংগ্রহশালা করতে উদ্যত হলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় প্রধান শোভা সরকার বিডিও সুমন দেবনাথ সহ একাধিক প্রশাসকগণ এই শুভ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও কাগজপত্র সংক্রান্ত আইনি জটিলতার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এমত অবস্থায় আজ কল্যাণী ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্টেন্ট কন্ট্রোলার সুকান্ত মজুমদার এবং কালনা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দিনোবন্ধু বিশ্বাস পরিদর্শন করেন কবির বসতবাড়ি । কবির নামাঙ্কিত শিলালিপি ওই জমিতে প্রেরিত থাকলেও মূর্তি নির্মাণ এবং লাইব্রেরী স্থাপন প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু জানান , হেরিটেজ হিসেবে ওই স্থানটি সংরক্ষিত করার বিষয়ে সরকারি মহলে সবরকম কথা বলতে তিনি প্রস্তুত।এ বিষয়ে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।