ভাড়াটিয়াকে খুন করে মধ্যরাতে বাড়ির মালিক কে ফোন! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন হওয়া যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার

Social

মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর জাতীয় সড়কের পাশে আমবাগান থেকে সকালে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর খোঁজ মিলেছিল গতকাল সকালে। শান্তিপুর থানা তৎপরতায়, কয়েক ঘন্টা বাদেই পরিচয় মিললো যুবতীর।

মৃত যুবতীর নাম রাখী মন্ডল (২০), বাড়ি রানাঘাট থানা এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, রানাঘাট থেকে কাঁচরাপাড়া যাওয়ার সময় স্টেশন থেকে যুবতীর প্রেমিক তাকে অপহরণ করে খুন করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রানাঘাট এলাকার কিশোরী রাখী মন্ডল খুব অল্প বয়সে পাড়ার এক যুবকের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে। কিন্তু সেই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি , বছর খানেকের মধ্যে স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়ি ফিরে আসে রাখি, সাথে একটি পুত্র সন্তান। পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কাঁচরাপাড়ায় স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে কাজ নেয় রাখি। তিন বছরের পুত্র সন্তান রাখির মায়ের কাছে থাকতো। কাজের সূত্রে কাঁচরাপাড়া ঘর ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন রাখি। কয়েক মাস আগে পালপাড়ার যুবক নকুল মন্ডলের সাথে নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রাখি। কাঁচরাপাড়ায় একা ঘর ভাড়া নেওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি বাড়তে থাকে। কাজ করা নিয়ে অনড় অবস্থান নেওয়ায় নকুল ও রাখির সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ রানাঘাটে তার মায়ের কাছে থাকা ছেলের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন ওই যুবতী। দশটা নাগাদ ট্রেন ধরে রানাঘাট থেকে কাঁচরাপাড়া পৌঁছানোর কথা রাখি।

তার মা কাজলী মন্ডলের অভিযোগ, রানাঘাট থেকে ট্রেন ধরে কাঁচরাপাড়া যাওয়ার সময় নকুল আমার মেয়েকে অপহরণ করে। তাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই আম বাগানে দেহ ফেলে আসে। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে, খুনের পর প্রেমিক নকুল রাখির মোবাইল থেকে কাঁচরাপাড়ায় বাড়ি মালিকের ফোন নাম্বার খুঁজে নিয়ে মধ্যরাতে রাখিকে খুনের কথা জানায় । তারপর থেকে বাড়ির মালিক আর নকুলের সাথে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেননি। বাড়ি মালিকের পক্ষ থেকে রাখির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। রাখি রানাঘাট থেকে বেরিয়ে কাঁচরাপাড়া না পৌঁছানোই বাড়ির মালিক ও তার পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ রাখির বাড়িতে পৌঁছায় বাড়ি মালিকরা। তারপর থেকে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিবার জানতে পারে শান্তিপুর আমবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া দেহ তাদের পরিবারের মেয়ে রাখির।

পরিবারের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।

Leave a Reply