জিও টিক টকের মালিকানা নিয়ে নতুনকরে চালু করবার প্রচেষ্টা করলেও ইতিমধ্যেই বিকল্প মাধ্যম হয়েউঠছে ইউ টিউব:সৈকত দে

Social

শুভজিৎ দত্তগুপ্ত :সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী চীনের হাত থেকে টিক টকের মালিকানা নিয়ে নতুনকরে তার ভারতীয় সংস্করণ চালু করতে চলেছে ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও , এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে একটি সাক্ষাৎকারে টিক টকের জনপ্রিয় মুখ সৈকত দে জানান তার মতো অনেকেই যারা টিক টকের সাথে যুক্ত ছিলেন তারা নিজেদের কাজ শুরু করেছেন ইউ টিউবের মাধ্যমে। যদিও ইউ টিউব কে ব্যবহার করে নিজের প্রতিভা দর্শক অবধি পৌঁছে দেওয়া তুলনামূলক ভাবে অনেক কঠিন বলেই মনে করেন সৈকত। চীনের মালিকানাধীন টিকটক বন্ধের যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছেন তাকে পূর্ণ সমর্থন করে সৈকত জানান প্রথম দিকে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হলেও এই সময়কালের মধ্যেই অনেকেই ইউ টিউবকে ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছেন। যদিও তিনি বলেন , টিক টকের বিকল্প রূপে যে ভারতীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলি কে সামনে আনার প্রচেষ্টা হয়েছিল সেগুলির গুণগত মান ভালো না হওয়ার কারণেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি তাই বাধ্যহয়ে যারা ইউ টিউব ব্যবহার করছেন তারা কিছুজন হয়তো ফিরে আসবেন টিকটকে। যুব সমাজের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা টিকটক বা ইউ টিউবকে ব্যবহার করে সামাজিক সমস্যা গুলিকে তুলেধরবার প্রসঙ্গে সৈকতের বক্তব্য সামাজিক দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের বিরোধিতার কারণের ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন ইউ টিউবার যেভাবে আইনগত জটিলতার সম্মুখীন হয়েছেন তাতে ইচ্ছা হলেও অনেকেই বিতর্ক এড়াতে সামাজিক অন্যায়ের বিষয়ে ইউ টিউবে কোনোরকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। পশ্চিমবঙ্গে ইউ টিউবের দর্শক পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাড়লেও ইউ টিউবার ভিত্তিক দর্শক সংখ্যার ভিত্তিতে জনপ্রিয় ইউ টিউবার এর সংখ্যা এখনো খুবকম। মূলধারার গণমাধ্যম গুলির পাশাপাশি নিজের প্রতিভাকে জনগণের কাছে তুলে ধরে পরিচিতি হওয়ার এই বিকল্প রাস্তার প্রশংসা করে সৈকত জানান এই বিকল্প মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যে পরিচিতি তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি খুশি ,নিজের কাজ কে আরো উন্নত করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ।

Leave a Reply