সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নদীয়ার জগন্নাথের হাতের তৈরি প্রতিমা যাচ্ছে কলকাতায়

Social

মলয় দে নদীয়া:- খেলনা, লজেন্স বা অন্য কোন বায়না নয়! মা আটা মাখতে বসলেই খানিকটা দিতে হবে তাকে! বর্ষা হোক বা না হোক উঠোনের মাটি ভালো করে চেলে কাদা বানিয়ে তা দিয়ে ছোট ছোট খেলার সামগ্রী বানানো এই ছিলো নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবরে পাড়ার চড়কতলার রাম প্রামাণিকে এবং মালতি প্রামাণিকের একমাত্র সন্তান জগন্নাথ প্রামাণিকের। মালতি দেবী ছেলের প্রতিভা দু বছর বয়সেই বুঝতে পারলেও পেশায় তাঁতশিল্পী স্বামীর আর্থিক উপার্জনের কথা ভেবে প্রকাশ করেননি কোনদিন! তবে বিশ্বাস করতেন ওর মধ্যে প্রতিভা থাকলে তা শত অভাব এর মধ্যে একদিন বিকশিত হবেই।

 

মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পড়াকালীন বিভিন্ন বন্ধুদের জন্মদিনে তার বানানো ঘর সাজানো মাটির ফুলদানি, বিভিন্ন মুনি ঋষিদের মূর্তি বন্ধুরা অল্প দামে কিনে নিয়ে যেতো জগন্নাথের কাছ থেকে। এভাবেই সামান্য পরিচিতি পরিধির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো শিল্পীর পরিচয়। তবে কুম্ভকার সম্প্রদায় না হওয়ার কারণে এই ব্যাপ্তি খুব বেশিদূর পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু গ্রাজুয়েট হওয়ার পর মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তার তৈরি বিভিন্ন মাটির শিল্পকর্ম দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেছে। করোনা আবহে যেখানে অন্য কুম্ভকার সম্প্রদায় ভুক্ত মৃৎশিল্পীদের ঠাকুরের অর্ডার কমে গেছে! সেখানে জগন্নাথের কলকাতার হাতিবাগান এবং বেহালা থেকে দুটো অর্ডার এসেছিলো দু মাস আগেই।

বিশেষ সূত্রে জানা যায় কলকাতার ওই দুটি পারিবারিক পুজোর ঠাকুর প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে এবং অতসুন্দর হাতের কাজ দেখে ওই দুই পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চার ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা পুজো করার।

Leave a Reply