সোশ্যাল বার্তা : শারদ সাজে সেজে উঠেছে প্রকৃতি, মায়ের আগমনে শরতের শিশির ভেজা ভোর । মা আসছে সেই বার্তা শোনা যাচ্ছে। প্রকৃতি মায়ের আগমনে মেতে উঠলেও এখন বিষন্ন ভারাক্রান্ত মনে মর্তবাসী মাতৃ শক্তিতে অসুর বধ হলেও বধ হয়নি করোনা। আর তাই জেরেই মন খারাপ মায়ের সন্তানদের। মহালয়া পেরিয়ে মাতৃ আরাধনা প্রায় দোরগোড়ায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের দর্জিরা প্রতিবছরই পুজোর সময় জামাকাপড় বানানোর অর্ডার বেশ ভালই পেতো। কিন্তু এবছর সব কেমন বদলে দিয়েছে করোনা।
তারা আক্ষেপের সুরে বললেন একেবারেই বেহাল অবস্থা তাদের। একই তো অনলাইনে কেনাবেচা তারপর করোনা। এই দুয়ের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছেন তারা
টানা লকডাউনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন পূজো আসছে দোকান খুললে দুয়েকটা অর্ডার পাবেন।কিন্তু ক্রেতার অনলাইনে শপিং করছে । একদম সংকটের মধ্যে রয়েছেন, রোজগার বন্ধ বাড়ির ছেলেমেয়েদের অনলাইনে পড়াশুনার ব্যাবস্থা করতে পারছি না। পরিবারের জন্য দুবেলা দুমঠো খাবার জোগাড় করতে পারছি না। কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি।
অপরদিকে ক্রেতাদের বক্তব্য, কোভিড -১৯ থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অনেকদিন গৃহবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই বাহিরে বেরিয়ে জামাকাফড় কাটানোর কোন প্রশ্নই ওঠেনা। তার উপর বর্তমান সময়ে ডিজিটালের মাধ্যমে ঘরে বসে নিজের মনের মতো জামাপকাপড় সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। বাড়িতে এসেই ডেলিভারি বয় দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেগুলিকে স্যানিটাইজ করে বাড়ির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছি।
এই অবস্থায় দর্জিদের একটাই আর্জি সরকার বিষয়টা একটু নজর দিক ।তবে দুবেলা দু’মুঠো পরিবারের মুখে ঠিকঠাক খাবার তুলে দিতে পারবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যাবস্থা করবো। কর্মীদের কাজ দিতে পারবো।