দেবু সিংহ,মালদা:- মালদা জেলার মধ্যে আলু উৎপাদনে অন্যতম হচ্ছে গাজোল ও পুরাতন মালদা ব্লক। এই দুটি ব্লকে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে এই বছর পুরাতন মালদা ব্লকের আলু চাষীদের মাথায় হাত। এলাকার কৃষকেরা আলু উৎপাদন করেছেন কিন্তু সঠিক মূল্যে নায্যতাম পাচ্ছেন না যার জেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পুরাতন মালদা ব্লকের আলু চাষিদের একাংশ।
চাষীদের দাবি বাজারে এখন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কুইন্টাল প্রতি আলো বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কুইন্টাল প্রতি বিক্রি হচ্ছিল। কার্যতা হঠাৎ করে প্রতিদিন দাম কমে যাওয়াতে দুশ্চিন্তায়। আলু চাষীদের একটাই দাবি আগামীতে যদি আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী না হয় তাহলে তাদের আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
অন্যদিকে বিঘা প্রতি আলু চাষ করতে খরচ পড়ে ৩০ হাজার টাকা। তবে বর্তমানে আলুর যা বাজার সবমিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আসছে কার্যত বলা যায় বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে লস হচ্ছে।
কৃষকদের দাবি অবিলম্বে সরকারকে সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু কেনার ব্যবস্থা করতে হবে না হলে এইভাবে আলুর দাম না বাড়লে কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারবেনা যার ফলে কৃষকদের আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। সরকার উদাসীনতার ফলে কৃষকদের আজকে এই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে এমনই অভিযোগ কৃষকদের। আর এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বৃধায়ক শিরুপা মিত্র চৌধুরী জানান রাজ্যের কৃষকদের সম্মান দিতে এই সরকার ব্যর্থ। আজকে এই রাজ্যে কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড লাগু করছে না এই সরকার । যার ফলে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে পাল্টা দিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু তুমি জানান আমাদের সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছে কৃষক বন্ধু সম্মান দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। এবারে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি যার ফলে একটু সমস্যা হচ্ছে তবে সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে বিরোধীদের কৃষকদের পাশে থাকার সরকার ।পাশাপাশি বিকল্প চাষ করে কৃষকরা যাতে আরো অর্থ রোজগার করতে পারে, সেটাই এখন ভাবা দরকার।
মালদা জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায় মালদা জেলায় ১০ হাজার ১১৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়, যার মধ্যে পুরাতন মালদা গাজোল ব্লকে বেশি হয়। এবারে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৩০ মেট্রিক টন আলু ফলন হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৯৫% জমি থেকে আলু উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতবারের তুলনায় থেকে এবারে ৫ শতাংশ আলু বেশি ফলন হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি হওয়াতে এই আলুর দাম কমে গিয়েছে।
মালদা কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা দেবনাথ মজুমদার জানান চাহিদা তুলনায় যোগান এবারে অনেকটাই বেশি আলুর ক্ষেত্রে। তবে সরকার সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে আলু কেনার বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর। কৃষকদের পাশে সরকার রয়েছে। তবে কৃষকরা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে সরকারি ঋণ নিতে গেলে তাদের সুদের হার টাও অনেকটা কম হবে ।