পুষ্প মেলার মাধ্যমেই সারাবছরের পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পান টবে চাষ করা ফুলচাষীরা

Social

মলয় দে, নদীয়া:- চন্দ্রমল্লিকা নাম শুনে ভাবার কোন কারণ নেই সে আমাদের দেশীয় ফুল ইংল্যান্ড আমেরিকা জাপান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের আমরা ভালোবেসে নাম রেখেছি চন্দ্রমল্লিকা। তবে ওই রকমই দেখতে আমাদের দেশীয় ফুল হলো স্নোবল, সোনার বাংলার মত দু এক প্রজাতি। বাকি সবটাই বিদেশের উইলিয়াম টার্ভা, ইভা টার্ভা, এলিজাবেথ নামে নানান রকম প্রজাতির ফুল। নদীয়ার শান্তিপুরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিশ্ব মোহন প্রামানিক দীর্ঘ 50 বছর যাবৎ ফুল চাষ করে আসছেন নিজের বাড়ির ছাদে। এ বছর প্রায় আড়াইশো টবের মধ্যে শীতকালীন বিভিন্ন ফুল সহ ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাই বেশিরভাগটা। তার মতে প্রকৃতি এবার বিরুদ্ধাচরণ করছে ফুল চাষের ব্যাপারে, অক্টোবর মাস প্রায় শেষ হতে চললো অথচ বিদায় নিলো না বর্ষা! উন্মুক্ত নির্মল আকাশে কুয়াশা থাকলে তবেই বৃদ্ধি পায় গাছ জন্মায় না লেদা পোকার মতো বিভিন্ন কীট। আশি বছরের এই প্রবীণ, এখনো নিয়মিত মাটি তৈরি, গাছের আকৃতি অনুযায়ী টব পরিবর্তন, সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত জল দেওয়া, এবং বর্ষার হাত থেকে বাঁচাতে সমস্ত দেখভাল করেন নিজেই। প্রতিবছরই পুরস্কৃত হন বিভিন্ন মেলায়! তখনই সারা বছরের সমস্ত পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পেয়ে যান তিনি।

আর এক ফুলপ্রেমী ভাস্কর লাহিড়ীর বাবার কাছ থেকে মাছ পাখি গাছ সবটাই প্রতিপালন করা শিখেছেন বংশগতভাবে। এলাচ, দারচিনি ,লবঙ্গ, নাসিকের আঙ্গুর, কাজু, পেস্তা, আখরোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈচিত্রের অর্কিড এবং ক্যাকটাসের একটা পুরো সংরক্ষণশালা তৈরি করে ফেলেছেন নিজের ছাদের ওপর। প্রায় 700 বিভিন্ন টব নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করেন নিজেই। তিনি জানান ফুল চাষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হলো চন্দ্রমল্লিকা । কারণ মাদারপ্ল্যান্ট থেকে চারাগাছ তৈরি করা রাখা হয় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই সারা বছর তাদের যত্নে রাখলে তবেই ফুটবে উৎকৃষ্টমানের ফুল।

Leave a Reply