ঝড় বৃষ্টিতে পাখিরা হতে পারে বাসাছাড়া, বাসস্থানের ব্যাবস্থা করতে এগিয়ে এলো বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

Social

মলয় দে নদীয়া:-সব পাখি বাবুই না হলেও, অনুমতি খড়কুটো দিয়ে গাছের ডালে নিজের মাথা ঠাঁই করে নেয় প্রত্যেক পাখিই। তার উপর পাখিদের এখন চলছে ডিম পাড়ার মরশুম । কিন্তু তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে পাখিদের পরিবার সুরক্ষিত থাকে না, ছোট্ট ওই দুটি ঠোটের উপর ভর করে খরকুটো যোগাড় করা এবং তা দিয়ে বাসা বানানোর উপর। উন্নত মনুষ্য জাতির সকল সন্তান দুধে ভাতে থাকলেও, তাদের জন্য কজনের হৃদয় কাঁদে?

কিন্তু সংখ্যায় অতি অল্প হলেও এখনো পর্যন্ত ঘরের খেয়ে বনে পাখিদের বাসা বেঁধে দেওয়া মানুষজন এখনো আছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নবদ্বীপ শহরের মহাশ্মশান ও কর্মমন্দির ক্লাবের মাঠের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো এম ব্যাতিক্রমি ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের।

এলাকায় প্রাত ভ্রমন কারী, লাফিং ক্লাব সহ কয়েকটি সংগঠনপর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের চারাগাছ বিতরণ ও গাছের মগডালে পাখিদের বাসস্থানের।

শহরের বুকে এ যেন এক ব্যাতিক্রমি ও ভিন্ন ভাবনায় এদিনের এই মহতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে সকলের সমবেত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ঠিক করে আগামী কাল থেকেই প্রত্যেক সংগঠনের দুই একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে চলে যাবেন বনে। অথবা রাস্তার পাশের গাছে, যেখানে নিরাপদ ডাল দেখে মাটির হাড়ি এবং কৃত্রিমভাবে বানানো পাখির বাসা বসিয়ে দিয়ে আসবেন।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপের ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আশিস চক্রবর্ত্তি সহ বহু বিশিষ্ট জন এবং সচেতন সচেতন নাগরিকগণ ।

Leave a Reply