সোশ্যাল বার্তা : সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ছাদের গাছগুলি পরিচর্যা করে চলেছে মিলি দেবী। হঠাৎ মিলি দেবীর শাশুড়ি মা বললেন বৌমা ওই টগর ফুলের পাশে যদি পঞ্চ জবা থাকত …! বিকাশ বাবুর শখ বাড়িতেই স্ট্রবেরি লাগাবেন কিন্তু পাবেন কোথায় ? রীতা দেবী ৪টি অ্যাডেনিয়াম কিনেছেন কিন্তু ২টির গোড়া পচতে শুরু করেছে সমাধান মিলবে কোথায় ? এমনই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চলছে ফেসবুকের একটি গ্রুপের মাধ্যমে । নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে খোলা হয়েছে একটি ফেসবুক গ্রুপ নাম “গাছের আমি গাছের তুমি”।
গ্রুপের সদস্যবৃন্দ নিজেদের পছন্দের কাজের সাথে সাথে গ্রুপের মাধ্যমে সবুজায় ঘটানোর কাজ করে চলেছেন । কোথাও নতুন কিছু পেলেই পোস্ট করছেন কারো লাগবে কি না ? কয়েকদিন আগে গ্রুপে একজন লিখেছিলেন তার পাম গাছের চারা লাগবে । পাম গাছের চারার খোঁজ পাওয়া গেল ধুবুলিয়ার লক্ষণ ব্রহ্মের কাছে । গ্রুপের একজন সদস্য ধুবুলিয়া থেকে চারা সংগ্রহ করে সময় দিয়ে বিলি করলেন সদস্যদের মাঝে ।
কৃষ্ণনগরের একজনের পদ্মের চারা লাগবে বলে পোস্ট করেন সমাধান ও মিললো শান্তিপুর থেকে একজন সদস্য কৃষ্ণনগরের এসে দিয়ে গেলেন । আগুনে ঝলসে পুরো বাগান শেষ চিত্রশালীর এক সদস্যের নিজে ভেঙেও পড়েছিলেন , শেষ অবধি গ্রুপের সদস্যবৃন্দ চারা দিয়ে সহযোগীতা করায় আবার শুরু তার শখের বাগান । বতর্মানে গ্রুপের মাঝেই সেই পুরোনো প্রথা ফিরে এসেছে “দেওয়া-নেওয়া ” ।
করোনা আর্থিক দিক দিয়ে আঘাত হানলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি বেড়েছে গাছের চারার জানালেন সন্ধ্যামাঠপাড়ার গুলমোহর নার্সারির মালিক শুভঙ্কর বিশ্বাস । তিনি জানান, বিশেষ করে ফলের গাছ যা টবে চাষ করা যায় তার বিক্রি বেড়েছে তবে তার মধ্যে সব থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে পাতিলেবুর ।
লক ডাউনের সময় অনেকেই গাছ লাগানোর মাধ্যমে নিজেদের সময় অতিবাহিত করেছেন । কালীনগর তিন মাইল এলাকার মাটির টব বিক্রেতা ঠাকুরদাস পাল জানান, এবছরে প্রচুর টব বিক্রি হচ্ছে । যেহেতু বিক্রি বেশি ফলে লাভ কম হলেও পুষিয়ে যাচ্ছে। শহরের রাস্তায় সহজেই চোখে পড়ছে হাতে গাছ নিয়ে ফিরছেন গাছ পাগল কিছু মানুষ ।
কথা হলো গাছের আমি গাছের তুমি গ্রুপের এডমিন এর সঙ্গে তিনি জানালেন অল্প দিনে গ্রুপটি এত বড় হয়ে যাবে বুঝতে পারেননি । গ্রুপে বিভিন্ন মানুষ রয়েছেন তারাই সমৃদ্ধ করছেন গ্রুপটি। গাছ দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টির মাধ্যমে সবুজায়নের এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো বলা চলে ।