নদীয়ায় উদ্ধার পক্ষীশ্রেণীর”সোয়াম্ফেন”, ময়ূর ভেবে ভীড় এলাকাবাসীর

Social

মলয় দে, নদীয়া:- সাত সকালে ময়ূর দেখতে নদীয়ার শান্তিপুর বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাস পাড়ায় ভিড় করেছিলেন অনেকেই ময়ূর ভেবে। ওই এলাকায় বসবাসকারী জাহিদুল শেখ গতকাল সকালে একটু দূরে বাইপাস মোড়ে নিজস্ব চায়ের দোকানে যাওয়ার সময় খেয়াল করেছে অদ্ভুত ধরনের এই পাখিটি রাস্তার পাশে রয়েছে, খানিকক্ষণ লক্ষ্য করার পর দেখতে পায় পাখিটি উড়তে সক্ষম নয়, তবে অত্যন্ত জোরে দৌড়াতে পারে বলেই মনে করেছেন তিনি, তাই অতি সন্তর্পনে মাছ ধরা পোলো জাতীয় পাদ দিয়ে ধরেন তিনি। তাঁর অনুমান জাতীয় সড়ক থেকে চলাচল করা বাস-লরির মধ্যে থেকে এটি পড়ে গেছে সেই কারণেই খানিকটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলেই ধরতে পেরেছেন তিনি। এরপর শান্তিপুর থানার ফোন করার পর বনদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় অনুপম সাহা আজ সকাল দশটা নাগাদ এই প্রকৃতিকে সংগ্রহ করে বনদপ্তর এর হাতে তুলে দেন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এই পক্ষী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য…

ধূসর-মাথাযুক্ত সোয়াম্ফেন একটি মুরগির আকারের পাখি, এর বিরাট দুটি নখ যুক্ত পা, একটির উপরে দাঁড়িয়ে অন্যটি হাতের মতো, জলাশয় এর মধ্যে কচুরিপানা বা ওই জাতীয় জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে মাছ শিকার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।
বেগুনি সোয়াম্ফেনের ১৩ বা ততোধিক উপ-প্রজাতি রয়েছে । ইউরোপীয় পাখিগুলি সামগ্রিকভাবে বেগুনি-নীল, আফ্রিকান এবং দক্ষিণ এশিয়ার পাখিগুলির একটি সবুজ রঙ রয়েছে, এবং অস্ট্রালিয়ান এবং ইন্দোনেশিয়ান পাখির কালো পিঠে এবং মাথা রয়েছে।
ধূসর-নেতৃত্বাধীন সোয়াম্ফেস সাধারণত মরসুমের প্রজননকারী হয়, তবে মৌসুমটি তাদের বিশাল পরিসীমা জুড়ে পরিবর্তিত হয়, অনেক জায়গায় শিখর বৃষ্টিপাতের সাথে বা আরও গ্রীষ্মকালীন গ্রীষ্মে গ্রীষ্মের সাথে সম্পর্কিত। ধূসর-মাথাযুক্ত সোয়াম্ফেন উষ্ণ বাসায় প্রজনন করে। প্রত্যেক মহিলা সম্পেন ৩ থেকে ৭ টি ডিম দেয় তবে একই ভাষায় দলবদ্ধভাবে । ডিমের যায় বাদামী ছোপ থাকে। তিন সপ্তাহ ধরে এই ডিম স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে তোলে। তবে বাচ্চাদের খাওয়ানো শিকার ধরা লালন পালন যাবতীয় দায়িত্ব পুরুষ পক্ষীরাই নেয়। ভারতের চেন্নাই গোয়া রাজস্থান সহ বেশ কিছু জায়গায় দেখতে পেলেও পশ্চিমবঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না।
বনদপ্তর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন, এই পক্ষী এখানে আসলো কিভাবে?

Leave a Reply