কৃষ্ণনগরে নদী বাঁচাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেমিনার

Social

সোশ্যাল বার্তা : বতর্মানে জলঙ্গীর চেহারা খুবই খারাপ কচুরিপানা আর শ্যাওলায় ভর্তি হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন পূজার ঘট, ফুল,মালা এখনও অনেকে ফেলেন নদীতে । আগের মত স্রোত নেই এই জলঙ্গী নদীতে। সেই জলঙ্গী ‘বাঁচাতে’ এবার এগিয়ে এল নদীয়ার কৃষ্ণনগরের “জলঙ্গী নদী সমাজ” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ।

শুক্রবার কৃষ্ণনগরের মিত্রতা লজে ‘নদী বাঁচাতে’ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তথ্য সমৃদ্ধ সেমিনার ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের যেমন দত্তফুলিয়া,তেহট্ট- বেতাই, পাগলাচণ্ডী, কূলগাছি থেকে নদীর সঙ্গে থাকা মানুষ, ছিলেন চিকিৎসক, অধ্যাপক, শিক্ষকসহ পরিবেশ কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এই আলোচনা সভায়।

বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য ইছামতী নদী আন্দোলনের সফলতম পুরোধা শ্রী জোতির্ময় সরস্বতী’র উপস্থিতি। নদী নিয়ে কাজ করছেন বিশিষ্ঠ নদী বিশেষজ্ঞ সুপ্রতিম কর্মকার । তিনি সবার সামনে উপস্থাপন করেন জলঙ্গী নদীর স্রোত ফিরিয়ে আনতে কিভাবে পাগলা চণ্ডী থেকে জল আনা যায়। জলঙ্গী নদী সমাজ এর পক্ষে ২ বার করে আসা ফিল্ড সার্ভে রিপোর্ট ও তাঁর আলোচনা  থেকে জানা যায় পাগলা চণ্ডী থেকে জলঙ্গীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার তার মধ্যে সাড়ে ৭ কিলোমিটার মত সংস্কার করতে পারলে এবং পাগলা চণ্ডীর কাছে একটি জগতখালি বাধ রয়েছে সেটির কিছু বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারলে জলঙ্গী নদীতে জল আনা সম্ভব। নদী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা ও নদীর প্রতি অবহেলার ফলে মানব সভ্যতার কতটা ক্ষতি হতে পারে তা সবার সামনে সাবলীল ভাবে তুলে ধরেন ।

Leave a Reply