কৃষ্ণনগরে মৃৎশিল্পীর তৈরি দুর্গা প্রতিমা যাচ্ছে সুদূর কানাডার টরেন্টোয়

Social

সোশ্যাল বার্তা :  বর্তমান করোনা আবহে প্রতিমা ছোট হোক বা বড়ো ! নতুন জামা-কাপড় হোক আর নাই বা হোক! বাঙ্গালীদের মধ্যে সহাবস্থান করে সমস্ত অভাব-অনটনের মধ্যেও পুজোর গন্ধ স্বাদ সাপ্তাহিক অনুভব করতে পারছি আমরা। কিন্তু যারা প্রবাসী? ছোটবেলা থেকে পুজো দেখতে অভ্যস্ত অথচ কর্মসূত্রে আটকে দেশের বাইরে। ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই নিজ জন্মভূমিতে পুজো দেখার। কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে ভিনদেশেও কোন একজন বাঙালি পদবী পেলেই কন্টাক্ট সেভ করতে ভোলেন না প্রবাসীরা! উইকেন্ডে কোথায় এক জায়গায় বসে চা পানের মাধ্যমে মাতৃভাষায় আবেগ বিনিময় করার স্বাদ আমি-আপনি নই একমাত্র তারাই পান।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশেই বাঙালির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়! বিশেষত দূর্গা পূজার দিন কাটে একসাথে।এই রকমই কানাডা নিবাসী বাংলার দু একজন প্রবাসী নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে নদীয়ার কৃষ্ণনগর শহরের নম্বর ৯ওয়ার্ডের রথতলায়র মনোজ পাল এর সাথে যোগাযোগ করেন ১৮ ইঞ্চি দুর্গা প্রতিমার জন্য। তিনি এবং তাঁর সহধর্মিনী মাম্পি পাল ১০ থেকে ১২ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাটি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে তারঁ শিল্প দক্ষতায় তৈরি করেছেন অসাধারণ একটি দুর্গা প্রতিমাটি।

আজ রাতেই কুরিয়ারের মাধ্যমে কৃষ্ণনগর ছেড়ে সুদূর কানাডায় টরেন্টো প্রবাসী বাঙালিদের কাতর প্রার্থনায় রওনা দেবে উমা। শিল্পী মনোজ পাল জানান এবছর বড় ঠাকুরের থেকে ছোট ঠাকুর এর চাহিদা বেশি। সূক্ষ্ম কাজে সময় লাগে বেশি। তার উপর বিদেশের ঠাকুরের অর্ডার পেলে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখি।  কলকাতার কুমোরটুলির অর্ডার নেওয়া কিছু কাজও তিনি করছেন । কৃষ্ণনগর মৃৎশিল্প পৃথিবীজুড়ে সমাদৃত তা বলাই বাহুল্য ।

Leave a Reply