মলয় দে, নদীয়া:-নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলে ১৮৮০ সালের ২৬ শে জুন কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি কালনার মাতুলালয়ে বেশিরভাগ সময় থাকতেন পড়াশোনার কারণে। কিন্তু তার জন্মস্থান পিতা মাতা এমনকি তার বাল্যকালের বেশ খানিকটা কেটেছে হরিপুরের এই অঞ্চলে। মা-বাবার মৃত্যুর পরবর্তীতে কবি আর কোনদিনই আসেনি এই বাড়িতে। সেই থেকে ফাঁকা পড়ে থাকতো ঘরবাড়ি। বিদেশে থাকা কবির কনিষ্ঠ ভ্রাতা শেষবারের জন্য এসেছিলেন হাজার ১৯৭৮ সালে, বর্তমান বসবাসকারী নীলা দেবনাথের স্বামী স্বর্গীয় রাধেশ্যাম দেবনাথ সে বছর বন্যায় ছিলেন আশ্রয়হীন তাই একটি ঘরে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন সেই বছরেই বাড়ির প্রবেশের সামনে একটি অংশে কবির নামাঙ্কিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। তারপর থেকে আর কোনোদিন আসেননি তিনি।
কিন্তু ক্রমেই সে অধিকার বাড়তে থাকে আশ্রয়প্রাপ্ত পরিবারের । কবির মূল বাসগৃহ থেকে বেশ খানিকটা দূরে কবির স্মৃতিফলক সম্বলিত জমি দখলের চেষ্টা করেছেন বহুদিন ধরে। শুধুএলাকা নয় সমগ্র শান্তিপুরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন কিছু মানুষ একটি স্মৃতি কমিটি গঠন করে সেখানে একটি লাইব্রেরী এবং কবির বিভিন্ন লেখনীর সংগ্রহশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান সভা সরকার, বিডিও সুমন দেবনাথ সহ প্রশাসনিক একাধিক কর্মকতাগণ সদিচ্ছা থাকা সত্বেও আইনি কিছু বাধার সম্মুখীন হচ্ছন তারা। অথচ দলিল পর্চা সর্বত্রই কবির পরিবারের বিভিন্ন সময়ের পদবীর উল্লেখ থাকলেও , বর্তমান দখলকৃত পরিবারের দেবনাথ পদবী কোথাও উল্লেখ নেই! কিন্তু উদাসীন কবি এবং উত্তরসূরিদের বিদেশে থাকার কারণে এত বছর বাদে কারোর সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানান কবি স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি। প্রধান শোভা সরকার জানান দীর্ঘদিন যাবত বাড়িটি দখল করে রয়েছেন ওই পরিবার, বিক্রি বা দান কোবলার কোন কাগজই দেখাতে পারেন নি আজ পর্যন্ত। অথচ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে একটি লাইব্রেরী করার মতো শুভ কাজেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে দীর্ঘদিন।
ওই বাড়িতে বর্তমান বসবাসকারী নীলা দেবী জানান কবির পরিবারে কোনোদিন আসলে তাদের কাছ থেকে উপযুক্ত টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হবে! কিন্তু দখলদারি আমাদের। তাতে পাড়ার লোকের কথা শুনতে আমরা বাধ্য নই।